প্রতিবেশীকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে বাবাকে নিয়ে মাকে হত্যা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২২, ১০:২৮ এএম

জয়পুরহাটের কালাইয়ে জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে নিজের মাকে হত্যা করেছেন শিহাব উদಌ্দিন (২০) নামের এক তরুণ। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তার বাবা তোজাম হোসেন সরকার (৫২)।  

রোববার (২৯ মে) বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেস্ট আতিকুর রহমানের আদালতে পিতা-পুত্রকে𒊎 ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য হাজির করা হয়।

কালাই থানার ভারপ্রা🃏প্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শুক্রব🥃ার (২৭ মে) রাতের কোনো এক সময়ে দুধাইল-নয়াড়া গ্রামে নিজ শয়নকক্ষে খুন হন শিপন আক্তার (৪৫)। শনিবার (২৮ মে) সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

তোজাম হোসেন সরকার কালাই উপজেল🐲ার দুধাইল-নয়াপারা গ্রামের মৃত আলেক উদ্দিন সরকারের ছেলে এবং শিহাব উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের শিকার শিপন আক্তারের বড় ছেলে।

শনিবার সকালে পুলিশ ꦅহত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য জানতে বাবা-ছেলেসহ বেশ♔ কয়েকজনকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গৃহবধূর স্বামী ও সন্তান হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ভাই শাহজাহান আলী পিতা-পুত্রক🅰ে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।  

গৃহবধূর স্বজন, প্রতিবেশী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৭-৮ বছর আগে প্রতিবেশী আয়নাল হকের ছেলে আহসানের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি কেনেন  তোজাম হোসেন সরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই জমির দলিল হয়নি। বর্তমানে জমির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রেতা সেই জমি দলিল করে দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। জমি উদ্ধার এবং প্রতিবেশীসহ আরও বেশ কয়েকজনকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে গৃহবধূকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তার স্বামী ও সন্তান। 🍎পরিকল্পনামাফিক শুক্রবার রাতের কোনো এক সময়ে বাবা ও ছেলে মিলে গৃহবধূর কক্ষে প্রবেশ করে তাকে হত্যার পর ঘরের মেঝেতে মরদেহ ফেলে রাখেন। 

এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই প্রতিবেশীদের অভিযোগ ছিল, নিরপরাধ লোকজনদের ফাঁসাতে বাবা ও ছেলে মিলে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই তারা গৃহবধূর স্বামী তোজাম হোসেন সরকার এবং ছেলে শিহাবকে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুরোধ করেছিল পꦯ্রশাসনের কাছে।

নিহতের ভাই ও মামলার বাদী শাহজাহান আলী বলেন, “প্রথম থেকেই পুরো পরিবারের সন্দেহ ছিল তাদের ওপর। বাবা🔯 যেমন চতুর, তেমনি চতুর ছিল ছেলেটিও। জমি নিয়ে প্রতিবেশীদের ফাঁসাতেই পিতা-পুত্র মিলে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। ওদের দুজনের কঠিন শাস্তির দাবি করছি।” 

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি𒅌) এস এম মঈনুদ্দিন জানান, পিতা-পুত্র মিলে গৃহবধূকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছেন। রোববার বিকেলে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করার জন্য চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।