খাগড়াছড়ির পর রাঙামাটিতেও সহিংসতা, ১৪৪ ধারা জারি

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪, ০২:৩০ পিএম
সকালে রাঙামাটি শহর থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত

পার্ব✅ত্য জেলা খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি ও বাঙালির সংঘর্ষের জের ধরে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতভর জেলা সদরে গোলাগুলির ঘট𒆙না ঘটেছে। এ সহিংসতায় তিনজন নিহত ও অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। চারজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের নারানখাইয়া, স্বনির্ভর এলাকায় ব্যাপক গুলির শব্দ শোনা যায়। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কাদের মধ্যে এ ꦐগোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি।

তবে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দীঘিনালার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এলেও সহিংসতার উত্তাপ ছড়িয়েছে পাশের জেলা রাঙামাটিতে। সকালের দিকে শহরের জিমনেসিয়াম চত্বর থেকে কয়েক হাজার পাহাড়ি মিছিল বের করে। ইটপ𒊎াটকেল নিক্ষেপের অভিযোগ তুলে পাহাড়িরা বাঙালিদের বেশ কিছু দোকানপাটে হামলা চালিয়েছে। রাস্তায় চলাচলকারী বাস, ট্রাক ট্যাক্সিতেও হামলা করা হয়।

স্থানীয় সূত্রমতে, শহরের হ্যাপির মোড়কে কেন্দ্র করে দুদিকে অবস্থান নেন পাহাড়ি ও বাঙালিরা। এই সংঘাতে আহত হয়েছেন অন্ত𒅌ত ৫০ জন। তাদের মধ্যে ৬ থেকে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাঙামাটি🥃 জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সকালে পাহাড়িদের একটি মিছিল বনরূপায় এসে ফিরে যাওয়ার সময় বাঙালিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, অগ্নিসংযোগসহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করে। এরপরই বাঙালি ব🃏্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের পাল্টা ধাওয়া দেয়। আগুনে ফাইবার অপটিক-এর ক্যাবল পুড়ে যাওয়ায় শহরে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

এ﷽দিকে, সংঘাত এড়াতে দুপুর দেড়টার পর থেকে রাঙামাটি পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. মোশাররফ হোসেন খান। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সকালে রাঙামাটি শহরে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথবাহিনী কাজ শুর💝ু করেছে।