শেরপুরে বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ছয়জন নিহতের ঘটনায় বাসের চালক মো. সুমনকে (৩৪) গ্রেপ্তার করেছে র্⛎যাব। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোরে রাজধানী ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুমন জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বাসিন্দা। শেরপুর সদর থানায় করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়⛎ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (২৯ ডিসেম্বর) শেরপুরে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে অটোরিকশাচালকসহ ছয়জন নিহত হন। শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা জোড়া পাম্প এলাকায় শেরপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত অটোরিকশাচালক লোকমান হোসেনের ছেলে জিহাদ মিয়া বাদী হয়ে রোববার সড়ক পরিবহꦡন আই𓄧নে সদর থানায় মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কের জোড়া পাম্প এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেক𓃲ে আসা ঢাকাগামী রিফাত পরিবহনের একটি বাসের চালক দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে সজোরে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেন। এতে ছয়জনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বাসটিকে আটক করলেও চালক কৌশলে পালিয়ে যান।
এদিকে শেরপুর-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ও সচেত🃏নতা বাড়াতে জেলা পুলিশের উদ্যোগে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ও চালকের সহকারীদের নিয়ে প্💃রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সড়কের নকশায় কোনো ত্রুটি আছে কি না, সে বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শেরপুরের জেলা পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম।