কুয়াশার আবরণে ঢাকা পড়েছে দক্ষিণের কৃষিপ্রধান জেলা ফরিদপুর। শৈত্যপ্রবাহ না হলেও ঝিরিঝিরি হিম হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের প্রকোপ। দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। ফলে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়🏅ে পড়েছে এ জেলার প্রতিটি জনপদ।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বৃহস্পতিবারের মতো কুয়াশার চাদরে তেমন ঢাকা নেই এ জেলা। তবে হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে বাতাসে ঝরাচ্ছে কনকনে তীব্র শীত। পৌষের মাঝামাঝিতে এমন শীতে দ𝓀ুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
ফরিদপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ফরিদপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক শূন্য ডি🐽গ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বৃহস্পতিবার দিনের তাপমাত্রায় রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে বৃহস্পতিবার দিনভর অনেকটা কুয়াশার আবরণে ঢাকা থাকায় দেখা যায়নি সূর্যের মুখ। উত্তরের হিমেল বাতাসে কনকনে শীতে কেঁ🃏পেছে জনপদের মানুষ। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নিম্নবিত্ত, হতদরিদ্র ও অসহায় শ্রেণির সাধারণ মানুষ।
শীতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ফরিদপুর শহরের ফুটপাতসহ হাটবাজারে বসা ফুটপাতের দোকানগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষদের ভিড় দেখা গেছে। তবে ফুটপাতের দোকানগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের কাপ๊ড়।🌺 অনেকে টাকার অভাবে কিনতে পারছেন না পরিবারের জন্য শীতের কাপড়। বাড়িতে ও শহরে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে।
শীতের কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্তের পরিমাণ। প্রতিদিনই জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎ🌠সা নিচ্ছেন অনেকে।
ফরিদপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্ಌরাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক বলেন, “শুক্রবার সকালে ফরিদপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে মেঘ ও মৌসুমি বায়ু কিছুটা নিষ্ক্রিয়তা থাকার কারণে তাপমাত্রা একটু বেশি। তবে বৃহস্পতিবার এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা কমে আসা ও বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ ভাগ হওয়ায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে।”
এ শীতের প্রকোপ এ মাসের ৮-৯ তারিখ পর্যন্ত থাকতে পারে। এরপর বৃষ্টি ঝরিয়ে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানান এ 🌞আবহাওয়া কর্মকর্তা।