খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের সঙ্গে জড়িত পরিবহনশ্রমিকদের গ্রেপ্তারে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাস টার্মিনাল অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শি🧸ক্ষার্থীরা।
বুধবার (৫ ডিসেম্বর) রাত পৌনে নয়টার দিকে এই ঘোষণা দিয়ে বাস টার্মিনাল থেকে ক্যাম্পাসেꦚ ফিরে যান শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে পরিবহনশ্রমিকদের গ্রেপ্তার করার সময় বেঁধে দিয়ে বলেছেন, ওই সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা ন🀅া হলে আবারও অবর♓োধ কর্মসূচি শুরু করবেন।
খুলনা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাহিদ হোসেন খান বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। যা ঘটেছে ভুল–বোঝাবুঝি থেকেই ঘটেছে। এটা নিয়ে আমরা অনুতপ্ত। আমরা চেষ্টা করছি, সব🍌 পক্ষই যেন শান্তিতে থাকে। ছাত্রদের সঙ্গে🐼 আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই।”
জাহিদ হোসেন বলেনꩲ, “সংঘর্ষ চলাকালে একটি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তবে কে বা কারা করেছে, তা আমরা জানি না। আমরা ছাত্রদের বিরুদ্ধে কোনো অভꦗিযোগ করব না। ওই গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তৃতীয় পক্ষের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।”
ভাড়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডায় এক শিক্ষার্থীকে মারধর💮 ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সোনাডাঙ্গা আন্তজেলা বাস টার্মিনাল মোড় অবরোধ করে রেখেছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সন্ধ্যার পর থেকে তাঁরা সেখানে গিয়ে টার্মিনাল অবরোধ করে রাখেন। রাত পৌনে নয়টার দিকে তাঁরা অবরোধ প্রত্যাহার করে💛ন।
এর আগে পরিবহনশ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েক দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখ🔯ানে বিপুলসংখ্যক সেনা, নৌ ও পুলিশ সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। তাঁরা বুঝিয়ে শিক্ষার্থীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. মুহিবুল্লাহ বলেন, গোপালগঞ্জ থেকে রাজীব পরিবহনের একটি বাসে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী খুলনায় আসছিলেন। ভাড়া নিয়ে কথা–কাটাকাটির জেরে ওই শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করেন বাসশ্রমিকেরা। বিষয়টি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গায় অবস্থিত বাস টার্মিনালে গিয়ে বাসশ্রমিকদের মারধরের কারণ জিজ্ঞাসা করেন। এ সময় পরিবহনশ্রমিকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। এতে কয়েকজ🅘ন শিক্ষার্থী আহত হন।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আগামীকাল সকালে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক নাজ🗹মুস সাদাত। তিনি দাবি করেন, শ্রমিকদের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছোড়া হয়েছে। খুলনায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য শ্রমিকেরা এমন কাজ করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রাজীব পরিবহনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র খুলনায় আসছিলেন। তাঁকে পরিবহনের সদস্যরা আসতে দেননি। পরে তাঁকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে না নামিয়ে টার্মিনালে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন—এমন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা ꦰবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাঁকে ছ🎀াড়িয়ে নিতে টার্মিনালে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা টার্মিনাল মোড় অবরোধ করে রাখেন। রাত পৌনে নয়টার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে ক্যাম্পাসে ফিরে গেছেন।