চিন্ময় দাসের জামিন নামঞ্জুরের পর সংঘর্ষ, আহত আইনজীবীর মৃত্যু

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৫:৫৪ পিএম

চট্টগ্রাম আদালতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর তার অনুসারীদের সঙ্গে পুলি🍸শের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে।

চট্ꦛটগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহত ৬-৭ জন চমেক হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে একজনকে মৃত অবস্🥃থায় আনা হয়।”

চমেক হাসপাতাল, পুলিশ ও আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, নিহত আইনজীবীর নাম সাইফুল ইসলাম।♚ তিনি চট্টগ্রামে লোহাগাড়া উপজেলার জꩲালাল উদ্দিনের ছেলে। তার শরীরে কোপানোর জখম রয়েছে।

চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এনামুল হক বলেন, 🅰“নিহত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।”

এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়🅺 কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার 🐭করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয়।

আদালতে শুনানি শেষে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারꦿায় প্রিজনভ্যানে ওঠানো হয়। তবে তার অনুসারীদের বাধার কারণে প্রিজনভ্যানটি আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হতে পারেনি। প্রায় তিন ঘণ্টা প্রিজনভ্যান আটকে রাখার পর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।

এ সময় আদালত পাড়ার মসজিদ๊সহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পর ওই এলাকার পরিস্থিতি থমথমে হয়ে ওঠে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা ১২টা থেকেই কয়েকশ নারী-পুরুষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহনকারী প্রিজনভ্যান আটকে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টা তারা প্রিজনভ্যান ꦯআটকে রাখার পর বেলা ৩টার দিকে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে যায়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে এবং লাঠিচার্জ করে।

বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা একপর্যায়ে আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকা বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেয়। এ🐠 সময় আইনজীবীদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চিন্ময়ক❀ে চট্টগ্রাম কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, “বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে🐷 বিক্ষোভকারীরা একটি মসজিদসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর চালায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি এখনো (এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) উত্তপ্ত আছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।”