পদ্মায় নিখোঁজ পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ পাবনায় উদ্ধার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ০১:৩৭ পিএম

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা꧅ নদীতে দূর্বৃত্তদের হামলায় নিখোঁজ এএসআ༺ই মুকুল হোসেনের (৪০) মরদেহ পাবনার সুজানগরে পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার নাজিরগঞ্জ ফেরীঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে নিখোঁজ দ♔ুই এএসআইয়ের মরদে🥃হ উদ্ধার করা হলো।

নিহত মুকুল হ🍸োসেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি মেহেরপুর ꦬসদর উপজেলার কালা চাঁদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।

ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, “সকালে নাজিরগঞ্জ ফেরীঘাটে পদ্মা নদীতে এক ডিঙ্গি নৌকার মাঝি আমাদের ফোন করে মরদেহ ভেসে থাকার খবর দেয়। তারা মরদেহটি রশি দিয়ে ড্রেজারের সঙ্গে বেঁধে রেখেছিল। পরে ♎পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। আমাদের কাছে থাকা কুষ্টিয়ার মিরপুরে পুলিশ নিখোঁজের তথ্য ও ছবি মিলিয়ে মরদেহটি এএসআই মুকুলের বলে শনাক্ত করা হয়।”

ওসি গোলাম মোস্তফা আরও জানান, “সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জে🥂নারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়ার মি♒রপুর থানায় মামলা রয়েছে।”

উল্লেখ্য, সোমবার (২৮ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার বেড় কালোয়া এলাকার পদ্মা নদীতে অভিযানে যায় পুলিশ। কুমারখালী থানার ছ💫য় পুলিশ সদস্যকে নিয়ে নৌকায় করে পদ্মা নদীতে যান স্থানীয় দুই ইউপি সদস্য ছানোয়ার হোসেন ও আনোয়ার হোসেন।

এ সময় অবৈধভাবে জাল ফে💖লে মাছ শ❀িকার করছিলেন জেলেরা। পুলিশের নৌকাটি জেলেদের দিকে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় নৌকায় থাকা কুমারখালী থানার এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন নদীতে ঝাঁপ দেন। এরপর থেকেই তারা নিখোঁজ ছিলেন।

এরপর মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ঘা‌ট এলাকার মাঝ নদী‌ থেকে নিখোঁজ এএসআই সদরুল আলমের (৪২) 🐷মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। 

সদরুল আলম পাবনার আতাইকুলা থানার পীরপুর গ্রামের আ𒆙বদুল ওহাবের ছেলে।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার ভাღরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, ২০২৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কুমারখালী থানায় এএসআই হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন সদরুল আলম ও মুকুল হোসেন। তাদের নিখোঁজ ও মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এসআই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন🤡। মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।