এক দিনের ব্যবধানে ꦆজেলেদের জালে দুই জোড়া বিশালাকৃতির সেইল ফিস (পাখি মাছ) ধরা পরেছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকাল পটুয়াখালীর আলীপুর বিএ༒ফডিসি মার্কেটে ৪টি মাছ বিক্রির উদ্দেশ্য নিয়া আসা হয়। এ সময় মাছগুলি একনজর দেখতে আড়ত পট্টিতে স্থানীয় উৎসুক জনতা ভিড় জমান।
বাজার সূত্রে জানা যায়, আমজেদ হোসেন মাঝির এফবি ফারজানা ট্রলারের ২টি মাছের ওজন ৭৫ কেজি। যা নিলামের মাধ্যমে সাড়ে সা♐ত হাজার টাকায় আ. সালাম নামের এক ব্যবসায়ী ক্রয় করেন। অপর দিকে এফবি ভাই ভাই ট্রলারের মাঝি বাদল মিয়া ২টি পাখি মাছ বিক্রি করতে নিয়ꦏে আসেন। কারিমা ফিসে মালিক মজিবুর রহমান নিলামের মাধ্যমে আড়াই হাজার টাকায় ক্রয় করেন।
মৎস্য আড়তদার ও জেলেরা জানান, এ জাতীয় মাছের পিঠে বিশাল আকারেꦿর পাখনা থাকায় এটিকে স্থানীয়ভাবেౠ পাখি মাছ নামে পরিচিত। এটি সাগরের সবচেয়ে দ্রুতগতির জলজপ্রাণী। মাছটি ঘণ্টায় ১১০-১৩০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে। নৌকার পালের মতো এর পৃষ্ঠয় পাখনাটি দেখতে হয় বলে একে সেইল (পাল) ফিস বলা হয়। মাছটি শিকারের কাছে এসে রং পরিবর্তন করতে পারে। এ মাছটি জেলেদের কাছে গোলপাতা নামেও পরিচিত।
মেসার্স কারিমা ফিসের স্বত্বাধিকার মজিবুর রহমান জানান,ꦡ উপকূলে এসব মাছের চাহিদা না থাকায় তেমন একটা দাম ওঠে না। তবে নিলামের মাধ্যমে ক্রয় করে ঢাকাসহ বিভিন্ন যায়গায় চালান দেওয়া হয়। তবে এই মাছ সব সময় দেখা যায় না।
এফবি ফারজানা ট্রলারের মাঝি আমজেদ হোসেন বলেন, “সাড়ে ৪ লাখ টাকার বাজার নিয়ে ফিশিং এ গিয়েছি। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাত্র ৭৫ হাজার টাকার মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরে আসতে হয়েছে। তবে আমাদের🦩 জালে অন্যান্য মাছের সঙ্গে এ পাখি মাছ ২টি পেয়েছি।🅺 কিন্তু চাহিদা কম থাকায় দামও একটু কম পেয়েছি।”
কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্ম🔯কর্তা অপু সাহা বলেন, পাখি মাছ গভীর সমুদ্র থাকে। এটি গভীর সমুদ্রের মাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম সেইল ফিস। তবে এ অঞ্চলে এই মাছ পাখি হিসেবে পরিচিত। খেতে খুব সুস্বাদু। বিদেশে পাখি মাছের চাহিদা রয়েছে। তাই রপ্তানি হয়ে থাকে। এছাড়াও এ মাছের পুষ্টিগুণ মানবদেহের জন্য উপকারী।