শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। মুসলিমরা পুরো মাসজুড়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশജায় রোজা পালন করেন। এই মাস মহান আল্🧸লাহ রাব্বুল আলামিনের অফুরন্ত রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের অমিয় বার্তা নিয়ে আসে। রমজানের জুমার দিনগুলো যেন আরও বরকতময় হয়।
রমজান মাসে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ তারাবি, তাহাজ্জুদ, সুন্নত ও নফল নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অনেক। সেই সঙ্গে রমজানের প্রতি শুক্রবারের জুমাবার মুসলমানদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের দৃষ্টিতে দিনটি অনেক বরকতময় ও🌄 তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহ এ দিনকে অন্য দিনের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআন ও হাদিসে জুমার দিনের ফজিলত বর্ণিত রয়েছে। ইসলামি শরিয়তের বিধানে জুমার দিনের মাহাত্ম্য সীমাহীন। এ দিন মানব জাতির আদি পিতা হজরত আদমের (আ.) দেহের বিভিন্ন অংশ সংযোজিত বা জমা করা হয়েছিল বলেই দিনটির নাম জুমা রাখা হয়েছে। জুমার দিনকে আল্লাহতায়ালা সীমাহীন বরকত দ্বারা 🃏সমৃদ্ধ করেছেন। এটি সপ্তা🌳হের সেরা দিন।
হাদিস🐽 শরিফের বর্ণনা অনুযায়ী, এ বরকতময় দিনটি আল্লাহতায়ালা বিশেষভাবে উম্মতে মুহাম্মদিকে দান করেছেন। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, সর্বাপেক্ষা উত্তম ও ব😼রকতময় দিন হচ্ছে জুমার দিন।
এ পবিত্র দিনে হজরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং এ দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো ♌হয়। (মুসলিম শরিফ)
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য দ্রুত যাও এবং বেচাকেনা বন꧒্ধ কর। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বোঝ।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
হাদিসে বলা হয়েছে, আব্দুল্লাহ্ ইবনে ইউসুফ (রা.) ও আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন জানাবত (ফরজ) গোসলের মতো গোসল করে সালাতের জন্য আগমণ করে, সে যেন একটি উট কুরবানি করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমণ করে, সে যেন একটি গাভী কুরবানি করল। যে ব্যক্তি তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমণ করে, সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কুরবানি করল। চতুর্থ পর্যায়ে যে আগমণ করে সে যেন একটি মুরগি কুরবানি করল। পঞ্✤চম পর্যায়ে যে আগমণ করল, সে যেন একটি ডিম কুরবানি করল। ইমাম যখন খুতবা প্রদানের জন্য বের হয় তখন ফেরেশতাগণ জিকির শোনার জন্য হাজির হয়ে থাকেন।
এ ছাড়া হাদিস শরিফে জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন ✱বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, জুমা তোমাদে🎶র পারস্পরিক দেখা সাক্ষাত ও সাপ্তাহিক ঈদের দিন। হাদিস শরিফে আরও বলা হয়, জুমার পূর্ববর্তী রাতে বনি আদমের সব আমল মহান আল্লাহতায়ালার দরবারে পেশ করা হয়। (বুখারি, আহমদ)
তাই জুমার দিনটিতে মহান আল্লাহর ইবাদত করা এবং প্রার্থনায় নিজের ও সমগ্র মানবতার জন্য কল্যাণ-সৌভাগ্য ওও🍬 উন্নতির দোয়া করা হয়।