রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত আদ-দ্বীন উইমেন্স কলেজ&n🌜bsp;হাসপাতাল। সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য নিবেদিত বেসরকারি সংস্থা আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের অধীনে পরিচালিত হয় হাসপাতালটি। দেশের সব কমিউনিটির দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে অসুস্থতা ও মৃত্যুর হার কমানো আদ্-দ্বীন হাসপাতালের প্রধান লক্ষ্য।
আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজটি মগবাজার ওয়্যারলেস গেইট থেকে দক্ষিণে ৪০০ গজের মধ🀅্যে অবস্থিত। এই হাসপাতাল ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট। এতে পুরুষ এবং মহিলাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। তবে ৯০ শ𓃲তাংশের বেশি রোগী মহিলা বা শিশু।
শিশু ও গর্ভবতী নারীদের চিকিতসায় অসামান্য অবদানের জন্য় পরিচিত এই হাসপাতাল। এখানে প্রতিদিন অসংখ্য নারীর নরমাল ও সিজারিয়ান পদ্ধতিতে সন্তান প্রসব করে থাকেন। শিশু বিশেষজ্ঞ, গাইনি বিশেষজ্ঞসহ অন্যান্য় 🥀বিশেষজ্ঞ൩ চিকিতসকরা এখানে সেবা দিয়ে থাকেন। রয়েছে ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা প্রদানের ব্যবস্থাও। সবার সাধ্যের মধ্যে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা যোগানোর জন্য আদ্-দ্বীন হাসপাতাল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি ‘সেভ দ্যা চিলড্রেন ইউকে&rsq🌠uo;কর্তৃক পরিচালিত ৬০ শয্যা বিশিষ্ট একটি ‘শিশু পুষ্টি কেন্দ্র’ হিসেবে পরিচিত ছিল। পরে এটি ‘সেভ দ্যা চিলড্রেন’ কর্তৃপক্ষ ১৯৯৭ সালে তাদের কেন্দ্রটি আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের উপর পরিচালনার দায়িত্ব দেয় প্রাথমিক পর্যায়ে হাসপাতꩵালটি বহি:র্বিভাগে মহিলা ও শিশুদের সাধারণ চিকিৎসা এবং অন্ত:বিভাগে শুধুমাত্র অপুষ্টি শিশুসেবা কার্যক্রম শুরু হয়।
১৯৯৭ সালের ১ নভেম্বর আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ ‘শিশু পুষ্༺টি কেন্দ্র’র নাম পরিবর্তন করে ‘আদ্-দ্বীন হাসপাতাল’ নামে নতুনভাবে কার্যক্রম শুরু করেꦯ। এক বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ নিজস্ব খরচে নতুন আঙ্গিকে বহির্বিভাগ ও অন্ত:বিভাগ পূনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়।
২০০২ সালের ৬ ডিসেম্বর ৬তলা বিশ💮িষ্ট নতুন বহির্বিভাগ ভবন প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। ২০০৮ সাল থেকে এখানে মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে হাসপাতালটির আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামে পরিচিতি পায়।
বর্তমানে হাসপাতালটিতে ২৬টি সেবা বিভাগ চালু রয়েছে। ডেলিভারি, টিকাদান, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র হিসেবে বেশ 𒀰পরিচিত এই হাসপাতাল।স্বল্পখরচে সর্বাধুনিক সব প্রযুক্তির মাধ্যমে রো✱গ নির্ণয় ও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে হাসপাতালটি।
এছাড়াও ইতোমধꦗ্যে আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি সমাজের অবহেলিত নারী ও শিশুদের স্বল্পমূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে এবং বিশেষত্ব অর্জনে সক্ষম হয়েছে। অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি স্বল্পমূল্যে আধুনিক চক্ষু চিকিৎসাসেবা পাওয়া নিশ্চিত করা, অন্ধ দরিদ্র ও অসহায় মানুষের চোখের স্বাভাবিক আলো ফিরিয়ে আনার জন্য আদ্-দ্বীনের ভিশন বাংলাদেশ-জেলা চক্ষুসেবা কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলের মানবসেবার প্রচেষ্টা কবুল করুন।
আদ্-দ্বীন হাসপ🃏াতালে দুই ধরনের সেবা বিভাগ রয়েছে। বহির্বিভাগ ও অন্ত:বিভাগ।
সেবাসমূহের মধ্যে রয়েছে- গাইনোকোলোজি অ্যান্ড অবস্ট্রেট্রিকস, পেডিয়াট্রিকস, মেডিসিন (১৬০টাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ), নিউট্রিশন (মারাত্মক অপুষ্ট শিশুদের জন্য চিকিৎসা), অ্যান্ডোসিনেলজি (বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা ডায়াবেটিস, হরমোন ও থাইরয়েডের চিকিৎসা), নিউরো মেডিসিন (মস্তিস্ক ও স্নায়ুর চিকিতসা), নেফ্রোলজি (মূত্রনালী ও কিডনী রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা), কার্ডিওলোজি (হৃদরোগের চিকিৎসা), ডার্মাটোলোজি (চর্মরোগের চিকিৎসা) সাইকিয়াট্রি (মানসিক ও হতাশা/দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ রোগীর চিকিৎসা), জেনারেল সার্জারি (লেপারস্কপির সাহায্যে চিকিতসা, জরায়ু অপারেশন, প্যানক্রিয়াস, থায়রেড, পাইলস সার্জারি), ইউরোলজি (এন্ডোসকপিক (পেট না কেটে ) প্রটেস্ট অপারেশন, মূত্রথলির টিউমার/পাথর অপারেশন, মূত্রনালীর ও কিডনীর পাথর অপারেশন), পেডিয়াট্রিক সার্জারি (শিশুদের সার্জারি ও সুন্নতে খাৎনা), অপটালোজি (চোখের চিকিৎসা), এন্ট (নাক, কান ও গলার সব ধরনের চিকিৎসা) অর্থোপেডিস (মেরুদন্ড, হাঁটু ও হাড়ের সার্জারি), ডেন্টাল (দাঁতের ছোট-বড় অপারেশন), সাইসিওথেরাপি (কোমর, ঘাড়, হাঁটু ও শরীরের জয়েন্টের ব্যথার চিকিৎসা), রেডিওলোজি (স্বল্পমূল্যে ডিজিটাল এক্স-রে, সিটি স✅্কান, মেমোগ্রাফ, ইসিজি, এন্ডসস্কপি, কোলনস্কপিসহ যাবতীয় পরীক্ষা), আলট্রাসনোগ্রাফি, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন ও ব্লাড ব্যাংক, প্যাথলজি, মাইক্রোবায়লোজি, প্রোটিন এনার্জি মেল নিউট্রিশন, ফ্যামিলি প্ল্যানিং।
ক্যাফেটেরিয়া
আদ্-দ্বীন হাসপাতালের অন্যতম বৈশিষ্ট্য আধুন𝄹িক মান ও রুচি সম্মত নিজস্ব ক্যাফেটেরিয়া ‘মায়ের ছোঁয়া’। এখানে স্বল্পমূল্যে খাবার পাওয়া যায়। সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্ꦅযন্ত ক্যাফেটেরিয়ায় খাবার সরবরাহ করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের জন্য বিনামূল্যে ৩ বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। ক্যাফেটেরিয়ায় মোট ৮০ জন কর্মী রয়েছে।
ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার
হাসপাতালে আসা মায়েরা&n𝄹bsp;শিশুদের দুধ পান করানোর জন্য সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে।♈ দ্বিতীয় তলায় রয়েছে এই ব্যবস্থা।
নামাজের ব্যবস্থা
হাসপাতালের ভেতরেই পুরুষ ও মহিলাদের𒐪 জন্💖য পৃথকভাবে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করা রয়েছে।
বিশুদ্ধ পানি
আদ্-দ্বীন হাসপাতালে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা 🦂রয়েছে। ভর্তি হওয়া রোগীসহ অন্যান্যদের জন্য বাইরে থেকে পানি কিনতে হয় না।
লিফট ব্যবস্থা
রোগী ও হাসপাতা꧑লের সবার জন্য পৃথক দুটি লিফট ও র্যা🦩ম সিড়ির ব্যবস্থা রয়েছে।
ফার্মেসী
হাসপাতালে🍬র নিচতলায় রয়েছে আদ্-ไদ্বীনের ফার্মেসী ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে।
রোগীর ভর্তি প্রক্রিয়া
১৬০ টাকায় রেজিস্ট্রেশন করে ডাক্তারের সুপারিশের ভ൲িত্তিতে রোগী ভর্তি করা হয়। ভর্তির জন্য বিজনেস কাউন্টার থে♊কে ৮৫০ টাকা ও ভিজিটিং কার্ডের জন্য ২০০ টাকা দিতে হয়।
সাধারণ বেড বিনামূল্যে পাচ্ছেন ৭দিন পর্যন্ত। ৮ম দিন থেকে রোগীকে পেয়িং বেড অথবা কেবিনে স্থানান্তর😼 করা হয়। নন এসি, মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ড𒅌/মহিলা সার্জারি ওয়ার্ড পাওয়া যায় ৪৫০ টাকায়।
শিশুদের জন্য সাধারণ বেড বিনামূল্যে পাওয়া যায়। কেবিন (দুই বেড এক সাথে) প্রতিদিন ৭০০টাকা। ৪ বেড প্রতিদিন ৬০০, ডিলাক্স কেবিন (এসি) প্রতিদিন ২৬০০টাকা। ডিলাক্স (নন এসি) প্রতিদিন ২১০০টাকায়💞 পাওয়া যায়।
এনআইসিইউ-এর পেয়িং বেড (প্রতিদিন) ৫০০টাকা। জরুরি বেড প্রতিদিনের জন্য় ৬০০ টাকায় পাওয়া যাবে। পেয়িং বেড (প্রতিদিন) এসি-পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড-২/মালিহা ওয়ার্ড/প্রফেসর আনোয়ারা ফিটাল মেডিসিন ওয়ার্ড ৫০০/৭০০/১০৫০ টাকায় পাওয়া যাবে। কেবিন (প্রতিদিন)-নন এসি ১৩০০টাকা, কেবিন (প্রতিদিন)-এসি ১৭০০ টাকা, এক্সিকিউটিভ কেবিন (প্রতিদিন) এসি-২৭০০-𓆏৩৮০০টাকা পর্যন্ত।
ডেলিভারি প্যাকেজ
স্বাভাবিক ডেলিভারি (প্যাকেজ) ৩৯০০টাকা। এর সঙ্গে থাকছে হাসপাতালে বিশুদ্ধ পানি, শীত নিবারণে জন্য কম্বল, এসি, ফ্যান, অক্সিজিন, টয়লেট-বাথরুম (এ্যাটাস্ট) সহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা। বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসম্মত ৩ বেলা নিয়মিত খাবার সরবরাহ করা হ⛄য়।
এ্যাম্বুলেন্স সেবা পাওয়া যাবে ২৪ ঘণ্টা। এ্যাম্বুলেন্💮স সেবার ফ🦄োন নম্বর- ০১৭১৩৪৮৮৪১১, ০১৭১৩৪৮৮৪১২।
জরুরি যোগাযোগ
পরিচালক: ০১৭১৩৪৮৮৪৩৯
ডিউটি ম্যানেজার (ইমারজেন্সি): ০১৭১৩৪৮৮৪১৮
হাসপাতাল প্রশাসন: ০১৭১৩৪৮৮৪১৮
ম্যানেজার ও ডেপুটি ম্যানেজার:০১৭১৩৪৮৮৪১৮
হাসপাতালের ঠিকানা
২, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
ফোন নম্বর: ০৯৬১২৩৪৫৬৬৬৯, ০৯৬১২৩৪৫৬৬৬, ০১৯৮৭৭৭৭৭৭৭।
ইমেইল- [email protected]