নানান কারণে আমাদের মনের উপর চাপ পড়ে। চাপ সামলাতে গিয়ে অনেক সময়েই চিৎকার-চেঁচামেচি, রাগারাগি, অশান্তির মতো কাজ করে বসেন অন্যের সঙ্গে। আপনার এই আচরণ টক্সিক আচরণ। আবার নিজের সঙ্গে নেতিবাচক আচরণও টক্সিক আচরণ। বিভিন্ন কারণেই আপনার আচরণ টক্𓆏সিক হয়ে উঠতে পারে। জেনে নিন কিছু লক্ষণ যেগুলো দেখে বুঝতে পারবেন আপনার আচরণ টক্সিক কি না-
- আমাদের অনেকেরই ছোট খাটো ভুল অনেক চাপে ফেলে দেয়। আপনিও যে ভুল করতে পারেন সেটা মানতে পারেন না। কারণ আপনি নিজেকে পারফেক্ট মনে করেন। অথবা সব সময় ‘পারফেক্ট’ হতে ইচ্ছা করে। আপনার মধ্যেও যদি এই আচরণ থাকে তাহলে এইটা নিজের প্রতি টক্সিক আচরণ। কারণ আমরা কেউ ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নই।
- কাজ করতে গিয়ে ভুল হতেই পারে। কিন্তু আপনি যদি নিজের ভুল ধরার পর অত্যধিক সমালোচনা করেন, সারাক্ষণ ভাবতে থাকেন, তবে তা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি আপনার আত্মবিশ্বাসও কমিয়ে দেয়।
- নিজের সঙ্গে অনেকেই কথা বলেন। এই কথা বলার সময় আপনি যদি ক্রমাগত কেবল নিজের নেতিবাচক দিক নিয়েই ভাবেন কিংবা নিজের সঙ্গে কেবল নেতিবাচক কথাই বলেন, তাহলে বুঝতে হবে, আপনি নিজের প্রতি টক্সিক।
- যেকোনও বিষয় খারাপ লাগা বা ভালো লাগা অন্যের সঙ্গে শেয়ার করলে ভালো লাগে। বিশেষ করে নিজের খারাপ লাগার বিষয়গুলো অন্যকে জানালে বেশ হালকা লাগবে। কিন্তু আপনি যদি নিজের আবেগের যত্ন না নেন নিজের খারাপ লাগা নিজের কাছেই রেখে দেন তাহলে আপনিও নিজের প্রতি টক্সিক।
- অনেকেই নিজেকে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব—সবার থেকে গুটিয়ে নেয়। এভাবেই থাকতে চায়। আর এভাবে থাকাটাই নিজের প্রতি টক্সিক হয়ে যাওয়ার আরেকটি লক্ষণ।
- অনেকেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে চায় না। চাপা স্বভাবের হয়ে থাকে। কারো প্রতি ক্ষোভ বা দ্বিমত থাকলেও প্রকাশ করতে চায় না। ফলে ধীরে ধীরে তাকে বিষণ্ন করে তোলে। আর এতেই বলা যায় আপনি নিজের প্রতি টক্সিক।
- জীবনে সব কাজে সফল হতে হবে—এমন সংকল্প রাখাও কিন্তু স্বাভাবিক নয়। জীবনে ভালো খারাপ যেকোনও পরিস্থিতি আসতে পারে। কিন্তু আপনি যদি সব কাজেই সফল হতে চান তাহলে আপনার এই আচরণও টক্সিক।
- অতিতের কথা বা অতিতের যেকোন ভুল নিয়েই যদি সারাক্ষণ ভাবতে থাকেন বা আগলে রাখেন তাহলে আপনার এই আচরণও নিজের প্রতি টক্সিক আচরণ।