পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি শসা। সালাদ হিসেবে যার জুরি মেলা ভার। এতে ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট ও ফাইবার সহ নানান উপাদান রয়েছে। শসা বিভিন্নভাবে শরীরের উপকার কর🐬ে। এটি শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করে। যার ফলে শরীর হা🌟ইড্রেট থাকে। শসা ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এছাড়াও শসার আছে আরও গুণ।
- শরীরের জন্য পানি অত্যাবর্শকীয়। পানির অভাবে নানান সমস্যা দেখা দেয়। শরীরে পানির সঠিক মাত্রা শারীরিক কর্মক্ষমতা থেকে বিপাক পর্যন্ত সবকিছুকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকা জরুরি। এক্ষেত্রে শসা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। কারণ শসা প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি দ্বারা গঠিত, তাই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর।
- শসার খোসা ভিটামিন-এ-এর (বেটা-ক্যারটিন) বড় উৎস। তাই খোসসহ শসা খেতে পারেন। এতে চোখের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
- এতে ক্যালরি, চর্বি এবং শর্করার পরিমাণ খুবই কম। ফলে এটি খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভব হয়। তখন বারবার খাবার প্রবণতা কমে যায়। ফলে ওজন কমানোতেও সাহায্য করে শসা।
- শসা হজমে সহায়তা করে পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। শসার নানা রকম ডিটক্স ওয়াটার হয় যেগুলো দেহ থেকে টক্সিন দূর করে।
- শসাতে রয়েছে ভিটামিন সি ও কে। এই দুই উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও রক্তসঞ্চালনে সাহায্য করে।
- শসার জুস উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। তবে কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা থাকলে শসা অতিরিক্ত না খাওয়ায় ভালো।
- শসায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এটি ত্বকের রোদে পোড়াভাব কমায়। একই সঙ্গে মুখের বলিরেখা দূর করে বয়সের ছাপ কমায়।
- অনেকে চোখের ফোলাভাব কমাতে শসা ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে শসা গোল করে কেটে ১০ মিনিট দুই চোখের ওপর দিয়ে রাখলে চোখের ফোলাভাব কমে।
- ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য শসা উপকারী। কারণ শসার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম, অর্থাৎ এটি রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা বৃদ্ধি করে না। তাই তারা নির্বিঘ্নে শসা খেতে পারেন।