আকাশপথে ভ্রমণে যা জানতে হবে

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২১, ০২:৫২ পিএম

দ্রুত সময়ের মধ্যে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যাওয়ার সহজ মাধ্যম আকাশপথ। আকাশপথে বিমান ভ্রমণের আনন্দটা যেমন, তেমনি খানিকটা ভয়ও রয়েছে। ভ্রমণপিপাসুরা যদিও সব ভয় কাটিয়েই আকাশপথে ছুটে বেড়ায়। তারা জানেন, কীভাবে স্বাচ্ছন্দে বিমানে ভ্রমণ করা যায়। কিন্তু অনেকেই আছেন বিমান ভ্রমণে একধরনের জড়তা থেকে যায়। কীভাবে এই ভ্রমণকে𒁏 সহজ, সাবলীল করা যায় সেই ধারণাও থাকে না। এতে পুরো ভ্রমণের  আনন্দটাই ফিকে পড়ে যায়।

আকাশপথে বিমান ভ্রমণে নিজ গন্তব্যে ছুটে যেতে আপনাকে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এ বিষয়গুলোতে যত্নশীল হলে আপনার ভ্রমণ আরও উপভোগ্য হয়ে উঠবে। আকাশপথে ভ্রমণে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে 🔴তা জেনে নিন এই আয়োজনে_

আঁটসাঁট পোশাক এড়িয়ে চলুন

ভ্রমণের ক্ষেত্রে পোশাক নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অস্বস্তি হতে পারে এমন কোনো পোশাক পরবেন না। আঁটসাঁট পোশাক পরলে বাধাগ্রস্ত হতে পারে আপনার রক্তপ্রবাহ। বিমান যখন ৪২ হাজার ফিট উচ্চতায় থাকে তখন মানুষের শরীর কিছুটা ফুলে ওঠে। আর তাই আপনার আঁটসাঁট পোশাক না পরে ঢিলেঢালা আরামদায়ক পোশাক প꧒রুন। 

সহজে আগুন ধরে এমন কাপড়

বিমানে অগ্নিকাণ্ড ঘটার সম্ভাবনা হয়তো কম। তবে দুর্ঘটনার জন্য সদা প্রস্তুত থাকাটা বুদ্ধিমানের কাজ। সুতি, লিনে🎉ন, ‘ফ্রিঞ্জ’ ইত্যাদি পাতলা কাপড়গুলোতে সহজেই আগুন ধরে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলুন। আগুন সম্পর্কিত যেকোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে গা𒁃য়ে মোটা কাপড় থাকা সব সময়ই অধিক নিরাপদ।

চুলকানি হয় এমন পোশাক

কাপড় যতই ভালোমানের হোক না কেন, আরামদায়ক না-ও হতে পারে। যে কাপড়গুলো পরলে গ🦄ায়ে চুলকানি হয় বা অন্য কোনো অস্বস্তি হয় সেই পোশাক ভ্রমণকালে পরা 🌠উচিত নয়।

লাগেজ বেশি ভারী না করা

বিমান ভ্রমণে নির্দিষ্ট পরিমা꧙ণ ওজনের লাগেজ বহনের নিয়ম রয়েছে। তা অবশ্যই মনে রাখবেন। প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিয়ে লাগেজ নির্দিষ্ট ওজনের মধ্যে রাখুন।

পুরো সময় সিটে বসে থাকবেন না

বিমানে অনেকক্ষণ বসে থাকার ফলে পায়ের শির🌠ায় রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি থাকে। অনেক সময় গন্তব্যে পৌঁছᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚতে কয়েক ঘণ্টা লেগে যায়। দূরের ভ্রমণে সারাক্ষণ বসে না থেকে একটু হাঁটাহাঁটি করুন।

খালি পায়ে হাঁটবেন না

ভ্রমণে অনেকে জুতা খুলে রাখেন। অনেকে ꦦখালি পায়ে হেঁটেই ওয়াশরুম পর্যন্ত চলে যান। বিমানের মেঝে ময়লা এবং জীবাণুযুক্ত হয়। তাই বিমানে খালি♈ পায়ে হাঁটা এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

ট্রে-টেবিলে খাবার পড়লে সেটা খাবেন না

গবেষণা মতে বিমানের অন্যতম জীবাণুযুক্ত একটি জিনিস হচ্ছে ট্রে-টেবিল। তাই খাবার খাওয়ার সময় ট্রে-টেবিলে খাবার পড়ে গেলে স👍েটা খাওয়া উচিত নয়।

টেক অফ বা ল্যান্ডিংয়ের সময় ঘুমানো যাবে না

বিমান যখন মাটি থেকে আকাশে উড়ে কিংবা ল্যান্ড করে তখন আশপাশের বায়ুচাপ খুব দ্রুত পরিবর্তিত হয়। এটি কানের ভেতর ♐বাতাসের চেয়ে বেশি দ্রুত পরিবর্তিত হয়। সেক্ষেত্রে টেক অফ বা ল্যান্ডিং-এর সময় ঘুম পরিহার করা উচিত।

কম্বল ব্যবহার না করা

বিমানে অনেকবার ব্যবহৃত একটা জিনিস হচ্ছে🧜 কম্বল। কম্বল এবং বালিশ দুটোই জীবাণুযুক্ত থাকার আশংকা থাকে। তাই কম্বল এবং বালিশ না ব্যবহা💛র করাই উত্তম।

ওয়াশরুমের ফ্লাস বাটন খালি হাতে ধরবেন না

বি🐷মানের ওয়াশরুম জীবাণু আর ব্যাকটেরিয়া লুকিয়ে থাকার আরেকটি প্রধান জায়গা। তাই ভালোমতো হাত ধুয়ে তারপর ফ্লাস বাটন চাপ দেওয়ার জন্য টিস্যু ব্যবহার করা উচিত। দরজা খোলার জন্যও ট𓃲িস্যু ব্যবহার করা শ্রেয়।

চোখে কন্টাক্ট লেন্স

বিমানের বাতাস আর সমতল ভূমির বাতাস মোটেই এক নয়। উচ্চতায় বাতাসে আর্দ্রতারℱ মাত্রা কম থাকে। তাই এসময় চোখে যদি কন্টাক্ট লেন্স পরে থাকেন, তবে তা চোখে প্রচণ্ড অস্বস্তি সৃষ্টি কর🥂বে। তাই বিমানে ভ্রমণের সময় অবশ্যই কন্টাক্ট লেন্স খুলে রেখে চশমা ব্যবহার করবেন।

উঁচু হিলের জুতা

বিমানে ওঠার আগে বিমানবন্দরে একটা ভিড় থাকে। গেইট থেকে বিমান পর্যন্ত পৌঁছাতে অনেকটা পথ হাঁটাতে হয় প্রতিটি যাত্রীকেই। তাই এসময় পায়ে আরামদায়ক জুতা থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূ෴র্ণ।

ধাতব অলংকার ও অন্যান্য অনুষঙ্গ

ধাতব অলংকার অত্যন্ত বিপজ্জনক। পাশাপাশি ধাতব অংশ আছে এমন জুতা, চকলেট কিংবা ‘চুইং꧑গাম’য়ের মোড়ক, নারীর অন্তর্বাসের নিচের অংশের ধাতব ইত্যাদিও বিপজ্জনক। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বলয় সামলানো আপনার জন্য অনেক সহজ হবে যদি কোনো ধাতব অংশ আপনার শরীরে না থাকে। প্রয়োজনে তা খুলে হাতব্যাগে রেখে দিতে পারলে আরও ভালো।

সুগন্ধির ব্যবহার এড়িয়ে চলুন

আপনার প্রিয় সুগন্ধিটা বিমানের অন্যান্য যাত্রীদের জন্য অসহ্য হতে পারে। বিমানের মধ্যে একই বাতাস ক্রমাগত প্রবাহিত হতে থাকে। বিমানের যাত্রীদের মধ্যে কারও হাঁপানি থাকতে পারে। কিংবা আপনার সুগন্ধির কোনো উপাদান হতে পারে অন্য কোনো যাত্রীর অ্যালার্জির কারণ। তাꦛই বিমানে সুগন্ধি ব্যবহার না করাই ভালো।