‘মনোপলি বোর্ড গেম’ খেলেছেন? তাহলে নিশ্চয়ই চার্লস প্যালেস থেকে আটলান্টিক অ্যাভিনিউয়ের স্থানগুলো আপনার পরিচিত। কাল্পনিক নয়, এই স্থানগুলোর অস্ত♏িত্ব ছিল বাস𝐆্তবেই। আমেরিকার নিউ জার্সি স্টেটের আটলান্টিক সিটির অনুকরণে তৈরি করা হয় বোর্ড গেমটি। বাস্তবেই সেই স্থান ছিল জাকজমকপূর্ণ। ছিল চোখ ধাঁধানো আলোর ঝলকানি। কিন্তু সময়ের প্রেক্ষাপটে এই স্থানগুলো এখন অনেকটাই ভুতুড়ে রূপ নিয়েছে। নীরব, থমথমে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেই ‘ভুতুড়ে’ শহর।
আটলান্টিক মহাসাগরের পাশেই ১১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ছিল এর অবস্থান। যেখানে সরগরম ছিল ক্যাসিনো, হোটেল, বিশালাক🍰ার ডান্স হল আর থিয়েটারে। আমেরিকার পূর্ব উপকূলবর্তী রাজ্যের বাসিন্দাদের পদচারণায় মুখর ছিল সেই স্থানগুলো। সেখানে ছিল কোটিপতিদের আনাগোনা। ছুটিদিনে জমজমাট হয়ে উঠতো গোটা এলাকা। ক্যাসিনোগুলোতে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করতেন ধনকুবেররা।
শুধু ধনকুবেররাই নন, ক্যাসিনোতে দেখা যেত শ্রমজীবী মানুষদেরও। কম খরচে বিনোদনের জায়গা ছিল এটি। বিধায় শ্রমজীবীরাও সেখানে জুয়ার আসরে মেতে উঠতেন। আমেরিকার নিউ জার্সিতে জুয়া খে🎉লা নিষিদ্ধ হলে আরও মেতে ওঠে আটলান্টিক সিটি।
আমেরিকার ব্যস্ততম এই শহরটির চিত্র বেশিদিন এমন থাকেনি। অর্থনৈতিক দুরবস্থা ঘিরে ধরে। একে একে বন্ধ হয়ে যায় ক্যাসিনো। জুয়া খেলায় মেতে উঠ😼া এই নগরী তখন নীরব হতে থাকে। হারিয়ে যায় এর জৌলুস। কিছুদিন পর অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলে নেয় আটলান্টিক সিটি। তবে ফিরে আসেনি আগের ব্যস্ততা। এই নগরীতে তখন অবশিষ্ট থাকে মাত্র কয়েকটি ক্যাসিনো।
সেই সুযোগে জেগে উঠলো লাস ভেগাস। আটলান্টিক সিটির ব্যস্ততা কমে যাওয়ায় ধনকুবেররা ভিড় জমাতেন লাস ভেগাসে। জুয়ার আসরের গন্তব্য হয়ে উঠে লাস ভেগাস। অন্যদিকে ধীরে ধীরে নীরব হতে থাকে আটলান্টিক সিটি। যা এখন শুধুই পর﷽্যটন কেন্দ্র।
প্রতিবছর এখন সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য উপভোগে আটলান্টিক সিটিতে ছুটে যাচ্ছেন পর্যটকরা। আলোর ঝলকানি না থাকলেও প্রাকৃতিক স♔ৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন। নীরবে পার করছেন কিছু মুহূর্ত। ব্যস্ততম আটলান্টিক সিটির এই ‘ভুতুড়ে’ রূপের সৌন্দর্যও হয়ে উঠেছে অন্যরকম।
সূত্র: আনন্দবাজার