অর্থ জরিমানা সেটা মেনে নেওয়া সহজ। কিন্তু পয়েন্ট কাটা হলে তা মেনে নেওয়া বড়ই কষ্টকর। স্লো ওভার-রেটে ক্রিকেটারদের জরিমানা তো কমানো গিয়েছে, তবে মূল্যবান পয়েন্ট কেটে নেওয়ার অবস্থানে এখনও স্থির আইসিসি। নির্ধারি🍷ত সময়ে বোলিং কোটার এক ওভার কম করলেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিল থেকে ১ পয়েন্ট কাটা হয়।
নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড দলের মধ্যকার ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে স্লো ওভাররেটের খপ্পড়ে পড়তে হয়েছে উভয় দলকেই। চার দিনেই টেস্ট ম্𝓡যাচটি শেষ হলেও হি♍সাব মতো উভয় দলই ৩ ওভার করে পিছিয়ে ছিল এবং দুই দলেরই ৩ পয়েন্ট করে কেটে নেওয়া হয়েছে।
নিউজিল্যান্ড ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে পরাজিত হওয়ায় তাদের ঘরে কোন𒊎ও পয়েন্ট ঢোকেনি। তার উপর ৩ পয়েন্টে কেটে নেওয়ায় আগের ৭২ পয়েন্ট এবার কমে দাঁড🐲়ায় ৬৯-এ। আর ঐ টেস্টে জয়ের ফলে ইংল্যান্ডের ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করার কথা। কিন্তু ৩ পয়েন্ট কেটে নেওয়ায় ব্রিটিশদের খাতায় যোগ হয় ৯ পয়েন্ট।
টেস্টে পাঁচদিন লড়াই চালিয়ে কষ্ট করে পয়েন্ট সংগ্রহ করতে হয় দলগুলিকে। তার উপর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার লড়াই যখন উত্তেজক রূপ নিয়েছে, তখন নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট কাটা যাওয়ায় তারা দৌড়ে পি🎶ছিয়ে পড়ে সন্দেহ নেই।
চলমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে স্লো ওভাররেটের দায়ে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট কাটা হয়েছে ইংল্যান্ড দলের। ব্রিটিশরা এই টেস্ট চ্য়াম্পিয়নশিপ চক্রের ২০টি ম্যাচে মোট ২২ পয়েনꦜ্ট হারিয়েছে স্লো ওভার-রেটের 🍨জন্য।
স্বাভাবিকভাবেই আইসিসির সিদ্ধান্তে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ব্রিটিশ দলনায়ক বেন স্টোকস। বেশ বড় একটা সময় বাকি থাকতে টেস্ট ম্যাচ শেষ হয়ে গেলেও কীভাবে স্লো ও🐟ভার-রেটের জন্য শাস্তি দেওয়া যায়, সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না স্টোকস। তিনি এটা নিয়ে সরাসরি কটাক্ষ করেন আইসিসিকে।
ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যন্ডের পয়েন্ট কাটা যাওয়ার খবরের প্রতিক্রিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টোকস লেখেন, ‘দারুণ বিষয় আইসিসি। ১০ ঘণ্টার খেলা বাকি থাকতেই টেস্ট শেষ হয়ে গিয়েছে।’ আগেভাগেই ꦅখেলা শেষ হওয়া সত্ত্বেও স্লো ওভাররেটের বিষয়টিই মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে স্টোকসের।