দুই মাসের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪, ০৬:৪৮ এএম

আগামী দুই মাসের জন্য রাজধানীসহ সারা দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিশেষ নির্বাহౠী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। সেনাবা𒅌হিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্🍌তের কথা জানানো হয়। 

প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকꦫর হয়েছে। আগামী দুই মাস (৬০ দিন) এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ সারা🐲 দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাতে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন ও কারফিউ জারি করে🔯 সরকার।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প😼তন হয়। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এখনো সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন আছে।

ܫবর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যেই সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিল সরকার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্♍প🍬ণ করা হলো।

ফৌজদারি কা♌র্যবিধির ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪,🌼 ৮৬, ৯৫ (২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অধীন অপরাধগুলো আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন সেনাবাহিনীর বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়া কর্মকর্তারা।

এর ফলে নির্বাহী ম𝓡্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পাওয়া সেনা কর্মকর্তাদ♐ের উপস্থিতিতে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তারা অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে বা গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিতে পারবেন। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা এসব ধারা অনুযায়ী অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থাও নিতে পারবেন।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল প্রথম আলোকে বলেন, দেশে বর্তমানে কিছু কিছু এলাকায়, বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলগুলোতে নাশকতা ও দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের মতো কর্মকাণ্ড ঘটছে ব🌠লে সরকার লক্ষ করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির উন্নতি এবং অপতৎপরতা মোকাবিলার জন্য সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সীমিত সময়ের জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতিܫর উন্নতি হলে সেনাবাহিনীর এমন দায়িত্ব ꦕপালনের প্রয়োজনীয়তা আর থাকবে না।