দেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য নতুন একটি কমিটি গঠনের কথা বলেছেন হাইকোর্ট। কমিটিতে একজন অবসরপ্রাপ্তജ বিচারপতি, সচিব, চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্টকে রাখা হতে পারে।&nꩲbsp;
ꦡএ বিষয়ে আগামীকাল বুধবার (১৩ অক্টোবর) আদেশ൩ দেবেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১২ 🌠অক্টোবর) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সিদ্ধান্তের কথ🔜া জানান।
গণমাধ্যমকে বি🦩ষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইꦡনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।
ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন বলেন, “আদালত যে কমিটি গঠন করে দেবেন, তাদের কাজ হবে ইভ্যালꦉ𝄹ির দায়-দেনা নিরূপণ করা ও সব বিষয় মনিটরিং করা।”
মঙ্গলবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এন এম মাসুম ও ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন। ব্যাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী✅ তাপস বল।
এছাড়া ইভ্যালির সব নথি হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১১ অক্টোবর) বিꦫচারপতি মুহাম্মদ খুরඣশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এসব নথি দাখিল করেন জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রার।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব নথি তলব করেন হাইকোর✃্ট। ১১ অক্টোবরের মধ্যে জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রারকে আদালতে সব নথি দাখিল করতে বলা হয়।
ইভ্যালির সম্পত্তিতে নিষেধাজ্ঞার আদেশের ধারাবাহিকতায় বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্❀থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোরꦿ্ট। একই সঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এ জন্য একটি নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিবাদীদের নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়। ইভ্যালির একজন গ্রাহকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত।
আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন বলেন, “ফরহাদ হোসেন নামের এক গ্রাহক গত মে মাসে ইভ্যালিতে একটি ইলেকট্রনিক পণ্য অর্ডার করেন। অর্ডারের সময়ই পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য তিনি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। বিনিময়ে ইভ্যালি তাকে একটি রসিদ দেয়। অর্ডার দেওয়া꧑র পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও পণ্যটি তাকে হস্তান্তর করেনি ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা পণ্য দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু টাকা রিফান্ড বা পণ্য কোনোটিই না পেয়ে অবশেষে তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। আবেদনে ওই গ্রাহক ইভ্যালির অবসায়ন চান।
সৈয়দ মাহসিব বলেন, “ফরহাদ হোসেনের আবেদনটি আদালত অ্যাডমিট করে আদেশ দেন। এ আদেশে আদালত বলেছেন, ইভ্যালির যত সম্পদ আছে, সেটা যেন বিক্রি অথবা ট্রান্সফার (হস্তান্তর) না করা হয়। একই সঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে ✅না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এ ব্যাপারে আদালত একটি নোটিশ ইস্যু করেছেন। বিবাদীদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নোটিশের জবাব দ🦩িতে বলা হয়।”
গ্রাহকের আবেদ🦋নে বিবাদী করা হয়, ইভ্যালি লিমিটেড, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজ♋েন্স ইউনিট, কনজ্যুমার রাইটস প্রটেকশন ব্যুরো, নগদ, বিকাশ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ই-ক্যাব অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বেসিস, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সচিবকে।