ই-অরেঞ্জ ও এসপিসির বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২১, ০৩:৪৬ পিএম

দেশে ই-কমার্সের নামে এমএলএম ব্যবসা পরিচালনার দায়ে এসপিসি ওয়ার্ল্ড ও ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে ২৩৩ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলা করেছে পুলিশে♎র অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপা🍎র হুমায়ুন কবির এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

হুমায়ুন কবির বলেন, “এসপিসি ও ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তে মা💙নিলন্ডারিংয়ের প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি। তাই কলাবাগান ও গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং আইনে পৃথক দুটಞি মামলা করেছে গোয়েন্দা সংস্থাটি। প্রতিষ্ঠান দুটো গ্রাহকের টাকা তুলে অন্যান্যখাতে ব্যবহার করেছে যেটা মানিলন্ডারিং আইনে অপরাধ।”

এর আগে ৩ অক্টোবর রাতে রাজধানীর বেইলি রোড থেকে এসপিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আল আমিন এবং প্রতিষ্ঠান𓆉টির পরিচালক ও তার স্ত্রী শারমীন আক্তারকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

এসপিসির বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় দায়ের করা মানিলন্ডারিং মামলায়ౠ সিআইডি অভিযোগ করেছে, প্রতিষ্ঠানটি তাদের কোম্পানির হিসাব থেকে মোট ১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যক্তিগতখাতে ব্যবহার করেছে। যার প্রমা🍬ণ মিলছে। 

এর আগে ২০২০ সালে ডেসটিনির এই সাবেক কর্মকর্তা আল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। অবৈধভাবে অনলা💦ইনে এমএলএম ব্যবসা করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে তখন ডিবি তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে। ২৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেছিল ডিবি।

ওই মামলায় দুই মাসের মধ্যে আদালত থেকে জামিন পান আল আমিন। জামিন পেয়ে পুনরায় তিনি এই ব্যবসা ⛦শুরু করেন। সিআইডির হাতে ৩ অক্টোবর গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত তিনি গ্রাহকদের কাছ থেকে ২২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, “সাম্প্রতিক কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণাকাণ্ডে অত্যন্ত উৎকণ্ঠায় রয়েছে গ্রাহক, ব্যবসায়ীꩵ এবং এই খাত সংশ্লিষ্টরা। ই-কমার্স সাইটগুলো ঈদ ধামাকা, সাইক্লোন অফার, ডাবল অফার👍সহ বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে।”

হুমায়ুন কবির বলেন, &ldqu🥂o;করোনা মহামারির সময় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করে।𒁃 মানুষের সেই আবেগকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যক্তি মুনাফা বা অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা করেছে। তবে আমরা তা হতে দিবো না। আমরা চাই এই সেক্টর আরও প্রসারিত হোক।”

ইতোমধ্যে ধামাকা ও ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং মামলা করা হয়েছে। ধামাকার বিরুদ্ধে ১১৬ কোটি এবং এই প্রতিষ্ঠানটি 🍬গ্রাহকের কাছ থেকে ৮০৩ কোটি টাকা নিয়েছে।

অপরদিকে ই-অরেঞ্জ🦩ের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ২৩২ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলা করেছে সিআইডি। এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকের ১১শ কোটি টাকা আত্মসাতের একটি মামলা গুলশান থানায় হয়।

এসপিসির বিরুদ্ধে অর্থ-আত্মসাতের পূর্বের তিনটি এবং সিআইডির একটিসহ মোট চারটি মামলা তদন্তাধীন। এসপিসির গ্রাহক সংখ্যা এককোটি ছাড়িয়েছে বলেও জানিয়েছে সিআইডি। এই গ্রাহকদের বেশিরভাগ ছিল ছাত্র ও অল্প বেতনে✃র মানুষ।

প্রতিষ্ঠানটি, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, ল্যাপটপ, মোবাইলে অফার দিতো। প্রথম দফায় গ্রাহকদের 💛পণ্য সরবরাহ করলেও পরবর্তীতে তারা গ্রাহকদের পণ্য বা টাকা কিছুই ফেরত দিতো না।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অসাধুতা ও অর্থ-আত্মসাৎসহ বিভিন্ন বিষয়ে র‌্যাব, সিআইডি ও ঢাকা মহানগর পুলিশ এক⛎যোগে অভিযান পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এছাড়া সিআইডি ১৮টি মামলা তদন্ত করছে।