কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না রাজধানীর ফুটপা♒ত দখল। হকারদের দখলে অনেক স্থানেই সংকুচিত হয়েছে পথচারীদের চলার পথ। যে কারণে বিড়ম্বনায় পড়ছেন পথচারীরা। ফুটপাত দখল হওয়ায় প্রধান সড়কে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছেন পথচারীরা। তাতে বেড়ে চলেছে যানজট। কিছু💝 এলাকায় শুধু ফুটপাত নয়, ব্যস্ত সড়ক দখল করেও চলছে হকারদের রমরমা ব্যবসা।
সরজমিনে রাজধানীর নিউমার্কেট নীলক্ষে😼ত ও গ্রীণ রোড এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এসব এলাকার রাস্তার দুপাশের ফুটপাত দখল করে পসরা বসিয়েছে হকাররা। এমনভাবে দখল নিয়েছে, যেখানে পথচারীদের বাধ্য হয়ে ধীরগতিতে হাঁটতে হচ্ছে এবং সড়❀ক ব্যবহার করতে হচ্ছে।
নিউমার্কেট এলাকায় ফুটপাতে দীর্ঘদিন শার্টের ব্যবসা করেন নাসির উদ্দিন। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর এই এলাকায় ফুটপাতে শার্ট বিক্রি করি। এ জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দিতে হয়। আমাদের তো আর এডভান্স করে দোকানে ব্যবসা করার সামর্থ্য নেই। 📖বাধ্য হয়েই এই ফুটপাতে ব্যবসা করতে হয় আমাদের। প্রতিদিন কাকে চাঁদা দেন জানতে চাইলে তিনি কারও নাম বলতে রাজি হয়নি।
🧸একই এলাকায় ফুটপাতে বসে জুতার ব্যবসা করেন আকবর হোসেন। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, আমার ছোট ব্যবসা করতে গিয়ে এলাকার নেতা, লাইনম্যান, এমনকি পুলিশকে প্রতিদিন টাকা দিতে হয়। তবে মাঝে মধ্যে সরকার থেকে চাপ আসলে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট উঠিয়ে দেয়। তারপর অনেক অনুরোধ করে কয়েকদিন পরে দোকান নিয়ে বসে পড়ি।
ঢাকা কলেজের প্রধান সড়ক দিয়ে হাঁটছেন পরিবার নিয়ে মফিজুল ইসলাম। সংবাদ প্রকাশকে তিনি বলেন, এভাবে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা কোন দেশে হয় কিনা জানি না। আমরা পরিবার পরিজন বাচ্চাদের নিয়ে সড়ক𝓀 দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। আর তারা আমাদের চলাচলের ফুটপাতে দোকান সাজিয়ে বসে আছে। সড়কে চলাচলের কারণে অনেক সময় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হতে হജয় আমাদের।
সড়ক দিয়ে চলাচল করতꦫে থাকা ষাটোর🗹্ধ সাজেদা বেগম সংবাদ প্রকাশকে বলেন, আমি এই বয়সে সড়ক দিয়ে কষ্ট করে যাচ্ছি। অথচ এত সুন্দর করে চলাচলের জন্য তৈরি করা ফুটপাতে এখন দোকানের জন্য চলাচল করা যায় না। এ সমস্যার সমাধান দ্রুত করা উচিত।
নীলক্ষেত এলাকার পথচারী রাকিবুল হাসান সংবাদ প্রকাশকে বলেন, ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছে। এজন্য রাস্তায় ঠিকঠাকভাবে হাঁটা যায় না। এমন🌌কি মোটরসাইকেল ফুটপাতে উঠে যায়। অবৈধভাবে দখল করে পার্কিং করে রাখা হয়। ফলে বাধ্য হয়ে প্রধান সড়ক দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে আমাদের।
ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান সংবাদ প্রকাশকে বলেন, সারা বছর ধরেই আমরা ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদের কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছি। তবু সরকারি ফুটপাত ও রাস্তা থেকে তাদেরকে নির্মূল করতে পারছি না। এছাড়া হকার উচ্ছেদের জন্য পুলিশ ফোর্সের প্রয়োজন। বর্তমানে পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স না 🧜পাওয়ার কারণে আমরা নিয়মিত হকার উচ্ছেদের কাজ করতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, আমরা আরও𒆙 একটি বিষয় লক্ষ্য করছি, তাদেরকে সকালে উচ্ছেদ করলে, বিকেলে বসে যাচ্ছে। আবার বিকেলে উচ্ছেদ করলে পরদিন সকালে বসে যাচ্ছে। এটা কিভাবে স্থায়ী সমাধান করা যায় সেই চেষ্টা 🐻করছি আমরা।