“কর্মকর্তাদের ‘স্যার-ম্যাডাম’ ডাকতে হবে, এমন নীতি নেই”

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১, ০২:২৫ পিএম

সরকারি কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ বা ‘ম্যাডাম’ বলতে হবে এমন কোনো রীতি নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেছেন, “স্যার শব্দের অর্থ মহোদয়। ম্যাডাম অর্থ মহাদয়া। জনাব বা জনাবা। রুলস অব বিজনেসে এটা নাই। আমদের জাতির পিতার নির্দেশনা কী ছিল? যারা তোমাদের কাছে সেবা নিতে আস🃏ে তাদের দিকে তাকাও তারা তোমার ভাইয়ের মতো, বাবার মতো, আত্মীয়ের মতো। যারা সেবা দিতে আসে তারা জনগণ, জনগণের সেবক হও। জনগণের টাকায় তোমার 🦋বেতন হয়।”

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) উদ্যোগে আয়োজিত সংলাপ অনুষ্ঠা💛নে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন,💫 ‘‘বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ে ব্যাপকভাবে পদ সৃজন করেছি আমরা। পদ সৃজনের কাজটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় করে থাকে🦩। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমরা প্রশাসনে ১ লাখ ৪০ হাজার ৮৬০টি পদ সৃজন করেছি।’’

এছাড়া নিয়োগের জন্য ৭ হাজার ৯৪৮টি পদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ৪ হাজার ৭২৬টি যানবাহন টিও অ্যান্ড ই-তে অন্তর্ভুক্ত🐽 করা হয়েছে। ৪৮ হাজার ৫১০টি পদ বিলোপে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘‘৩৭তম বিসিএসের মাধ্যমে ১ হাজার ৪৯টি, ৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার ৩৪টি ও ৩৯তম বিসিএসের মাধ্ꦺযমে ৬ হাজার ৭♑২৭টিসহ মোট ১০ হাজার ১১০টি পদে ক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্যাডার সার্ভিসের ৫ হাজার ৭৪৪ জনকে দেশে ও ৪৭৭ জন কর্মকর্তাকে বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিসিএস প্রশ🧜াসন একাডেমির প্রশিক্ষণ মডিউল যুগোপযোগী করেছি।’’

এদিকে ডিজিটালা✤ইজেশনের সুবিধা ব্যবহার করে দ্রুত কাজ করার জন্য ১৯টি সফটওয়্যার প্রস্তুত করা হচ্ছে জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘‘বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৮০৩টি আইন ও বিধিবিধানের বিষয়ে বিধিগত মতামত প্রদান করেছি ও ৪৮৪টি নিয়োগবিধি প্রবিধানের সংশোধনও করা হয়েছে এই সময়ের মধ্যে।’’

ফরহাদ হোসেন বলেন, সে ক্ষেত্রে আমাদের স্লোগানটা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে চাই। সে জন্য আমি নিজেও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংযুক্ত হয়, তাদের অনুপ্রাণিত করি। মাঠ প্রশাসনের প্রধান বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে নির্দেশনা দিই। তারা অ্যাসিল্যান্ড থেকে শুরু করে ইউএনওদের নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছেন। তারা প্রতিদিন তাদের এই বার্তাগুলো দিচ্ছেন যে জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। আমর🌌া জনমুখী জনপ্রশাসন বলতে ওইটাই বলেছি। সেক্ষেত্রে এখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।

‘কেউ সেবা নিতে গেলে হাসিমুখে, আপনার অ্যাটিচিউডটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেউ সেবা নিতে গলে যদি ওয়🅠েলকামিং অ্যাটিচিউড না থাকে, আপনি তিরস্কার বা রেগে আছেন- এগুলো দুর্নীতি। দুর্ব্যবহার দুর্নীতির শামিল। এটা করা যাবে না। আপনি সুন্দর, সাবলীলভাবে কথা বলেন। এমন কথা বলাটা এমন না যে ক্ষমতা দেখাতে পারছেন না বা আপনি হেরে যাচ্ছেন। সাধ্যমত সেবাটি দেওয়া। আপনার আচরণ সরকারের আচরণ। সবাই মনে করে আপনার অফিস প্রধানমন্ত্রীর অফিসের একটি অংশ। ’

জনপ্ཧরশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের কর্মকর্তারা যেটি মেনে চলবে- স্যার, ম্যাডাম বা এমন কিছু সম্বোধন করতে হবে এ🍒মন কোনো রীতি নেই।

সম্প্রতি মাঠ পꩵ্রশাসনে এক কর্মকর্তাকে স্যার সম্বোধন না করায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জনপ্রশাস🅠ন প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি জায়গায় একটি ঘটনা ঘটেছিল, সেখানেও আমরা দেখেছি আশপাশে যারা ছিল তাদের অতি বাড়াবাড়িতে এমনটি হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘‘এমনও নজির আছে, একজন ই𝕴উএনও যখন চলে যায় তখন কিন্তু মানুষ কাঁদে। বহুদিন তাকে মনে রাখে। সব গুণাবলি যেন থ🍬াকে, তারা যেন অতি মানবিক হয়।’’

বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুলℱ হকের সঞ্চালনায় সংলাপে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া উপস্থিত ছিলেন।