গ্রা𒈔হকের অর্থ আত্মসাতে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোহেল রানা ভারতে পালিয়ে গেছেন, এমন পুলিশ রিপোর্ট পাওয়ার পর বরখাস্ত করা হয় তাকে।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সোহেল রানাকে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢ🔜াকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাಌম।
মোহা. শফিকুল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে মামলা ছღিল। তিনি ভারতে পালিয়ে গেছেন, গুলশান পুলিশের পক্ষ থ🐈েকে এমন রিপোর্ট আসার পর বনানীর পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “থানার পরিদর্শক পদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পদে𓂃 থেকে এভাবে কাউকে অবহিত না করে অনুপস্থিত থাকা পুরো থানার কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। তা ছাড়া পরে জানা গেছে তিনি অন্য একটি দেশে গ্রেপ্তার হয়েছেন, সেখানে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।”
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম𒈔্বর) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী ℱবাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে সোহেল রানাকে আটক করে।
গ্রাহকের ৭৬ লাখ টাক💛া আত্মসাতের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠ✅পোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মামলায় আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমান উল্লাহ, না🐻জনিন নাহার বিꦗথি, কাওসার, কামরুল হাসান, আব্দুল কাদের, নূরজাহান ইসলাম সোনিয়া ও রুবেল খান।
শনিবার (৪ সেপ🦩্টেম্বর) গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা ই-অরেঞ্জ নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক, কর্মচারী ও সহযোগী। তারা ই-অরেঞ্জের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য সরবরাহ ও বিক্রি করেন। মামলার বাদী ও সাক্ষীরা প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে পণ্য কেনার জন্য নগদ/বিকাশ/ক্রেডিট কার্ড/ডেবিট কার্ড/ব্যাংক অ্যাকাউꩵন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ও তারিখে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে ভাউচার গ্রহণ করেন। পরে ক্রেতাদের নিজ নিজ ই-অরেঞ্জ অ্যাকাউন্টে বাদীসহ আম-মোক্তারনামা ১০ জন ৭৬ লাখ ৪১ হাজার ১০২ টাকা টাকা প্রদান করেন। টাকা প্রদানের পর পণ্য না দিয়ে এ অর্থ আসামিরা আত্মসাৎ করেন।
আরও জানা যায়, মামলার বাদী ও সাক্ষীরা পণ্য কেনার পর তাদের পণ্য সরবরাহ এবং ডেলিভারি প্রদান করেনি। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কিছুদিনের মধ্যে মালামাল সরবরাহ করবে বলে জানায়। পরে বাদী ও সাক্ষীরা জানতে পারেন যে, ই-অরেঞ্জ নামের প্রতিষ্ঠানটি তাদের মালিকানা পরিবর্তন 🐎করেছে।
বর্তমান মালিক মালামাল সরবরাহ করতে অনীহা প্রকাশ করাসহ আগের মালিকদের নাম ও ঠিকানা সম্পর্কে কিছুই জানাচ্ছেন না। এতে বাদী ও আম-মোক্তারনামারা আসামিদের প্রতারণার শিকার হꦛচ্ছেন।
গত ২৮ এপ্রিল মামলার বাদী ও সাক্ষীরওা বিভিন্ন সময় ই-অরেঞ্জ নামক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করে আসছেন। গত ১৮ আগস্ট থানায় 🍸মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলার পরামর্শ দেন।