প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন স্বামী মাসুকুর রহমানসহ চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহকে রিমান্ড শেষ๊ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বি💮ল্লাহ জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট আসামিদের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার মামলার তদ🔯ন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখ🅰ার আবেদন করেন।
আসামিপ🅰ক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করে🗹ন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সিএমএম আদালতে গুলশা♐ন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানান।
গত ১৭ আগস্ট মামলাটি দায়ের করেন ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার মো. তা⛄হেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহ🗹ক। এ সময় প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জন উপস্থিত থেকে তার সঙ্গে সাক্ষ্য দেন।
মামলায় অভিয🍸োগ থেকে জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন প্রতারণার শিকার মো. তাহেরুল ইসলাম। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিশ দিয়েছে। সময় চেয়েছে। কিন্তু পণ্য ও টাকা দেয়নি।
সর্বশেষ তারা গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩ꦆܫ৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও তারা ডেলিভারি দেয়নি। এছাড়াও তারা যে বিভিন্ন আউটলেটের গিফট ভাউচার বিক্রি করেছিল, সেগুলোর টাকা আটকে রাখায় আউটলেটগুলো ভাউচারের বিপরীতে পণ্য দিচ্ছে না।
তাহেরুল ইসলাম আরো বলেন, এই করোনাকালীন আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ পাচ্ছি না বরং প্রতিষ্ঠান꧙টির মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি। এছাড়াও আজ পর্যন্ত তারা ভুক্তভোগীদের কোনো পণ্য ডেলিভার♐ি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে।