রাজধানীর চকবাজারে পলিথিন কারখানায় লাগা আগুনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের নাম ওসমা🦹ন। তার বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। বাকিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ওসমানের লাশ পুড়ে কঙ্কাল হয়ে গেছে। এ💧 ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ইন্সপেক্টর অফিসার আনোয়ার বলেন, “ধ্বংস𒆙স্তূপ থেকে এখন পর্যন্ত ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।”
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, উদ্ধার লাশগুলো মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে ডিএনএ টেস্ট꧂ের মাধ্যমে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন… চকবাজারের পলিথিন কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
এর আগে, সোমবার (১৫ আগস্ট) বেলা ১২টার কিছু পরে ওই কারখানায় আগুন লাগে। এরপর দুপুর প্রায় আ♓ড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিল্লাল নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেন, ওই কারখানায় শনিবার (১৪ আগস্ট) রাতে কাজ করা আরও পাঁচজন ঘুমিয়েছিল। আগুন লাগার পর থেকে তাদের💫 কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ঘটনাস্থলে থাকা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবেদকের কাছে এক স্বজন দাবি করেন তার ভাইকে খুঁজে পাওয়া꧙ যাচ্ছে না।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার সংবাদ প্রকাশকে জানান, ধ্বংসস্তূপে আগুনে পোড়া লাশ দেখা যাচ্ছে। তবে ভেতরে কতজন আছে, সেটা এখনো বোঝা যাচ্ছে ন🦋া। ধারণা করা হচ্ছে, একাধিক লাশ থাকতে পারে। এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন… চকবাজারে পলিথিন কারখানায় আগুন
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, “আগুন লাগার ৯ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস কাজ শুরু করে। প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউ💮নিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরে সেখানে আরও দুটি ইউনিট যোগ দেয়। মোট ১০টি ইউনিটের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে একাধিক নিখোঁজ সংবাদ পাওয়া গেছে।”
ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও র্যাব, পুলিশ, আনসার ও ভলান্💙টিয়াররা আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নেন বলেও জানান জিল্লুর রহওমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লালবাগ থানার কামালবাগ এলাকার ৩ নম্বর দেবিদ্বার๊ ঘাটসংলগ্ন ওই কারখানায় আগুন লাগে। এরপর আগুন পাশের একটি হোটেলও ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার পর পরই কারখানার ভেতর ও আশপাশের লোকজন দ্রুত সরে🤪 যায়।