ডলার কারসাজি

৫ মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২২, ০৭:৩৮ পিএম

ডলার সংকট রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন টিম নিয়মিত কাজ করছে। এর ধারাবাহিকౠতায় ডলার নিয়ে কারসাজি করায় পাঁচ মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স স্থগিতসহ ৪২ মানি এক্সচেঞ্জকে শোকজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে খোলা বাজারে ডলার নিয়ে অনিয়ম পেলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মไো. সিরাজুল ইসল🌳াম।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, “ডলারে অনিয়ম পেলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। এরই মধ্যে আমাদেরꦡ অভিযানে পাঁচটি মানি চেঞ♐্জার হাউজকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাদের কাছে নানা অনিয়ম পাওয়া গেছে। যাদের লাইসেন্স নেই তাদের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে, তারা ব্যবস্থা নেবে।”

জানা যায়, ডলার নিয়ে কারসাজি করায় বিসমিল্লাহ মানি এক্সচেঞ্জ, অঙ্কন মানি এক্সচেঞ্জ ও ফয়েজ মানি এক্সচেঞ্জসহ পাঁচটি মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া ৪২ মানি এক্সচেঞ্জকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের যথাযথ উত্তর দিতে পারলে এসব মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্সের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে। 🌜অভিযানে আরও ৯টি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠᩚᩚᩚᩚᩚᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ⁤⁤⁤⁤ᩚ𒀱ᩚᩚᩚান লাইসেন্স না নিয়ে এতদিন ব্যবসা করে আসছিল।

২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। এরপর থেকে বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলার সংকট শুরু হয়, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতেও আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলারের মূল্য একই ছিল। ৩ আগস্ট থেকে দু-এক পয়সা করে বাড়ဣতে বাড়তে গত বছরের ২২ আগস্ট প্রথমবারের মতো ডলারের দাম ৮৫ টাকা ছাড়ায়।

এদিকে, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্তঃব্যা😼ংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কেনাবেচা হয়েছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সায়। ৯ জানুয়ারিতে দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছ😼ে ৮৬ টাকায়। গত ২৩ মার্চ তা বেড়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা হয়। গত ২৭ এপ্রিল ডলার প্রতি দাম ২৫ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা হয়। গত ১০ মে ডলারের দাম আরও ২৫ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা হয়।

গত ১৬ মে আনꦰ্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের দাম ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর ২৩ মে ফের ৪০ পয়সা বাড়িয়ে ডলারের দাম ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। এরপরও বাজার স্থিতিশীল হয়নি। পরে সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংকꦉের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস, বাংলাদেশের (এবিবি) দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৯ টাকা বেঁধে দেয়।

আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির জন্য বিসি সেলিং রেট নির্ধারণ করা হয় ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা। যদিও ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক লেনদেনে প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ৮৯ টাকা ৮০ পয়সার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু, তাতেও বাজার স্থিতিশীল না হওয়ায় ডলারের এক রেট উঠিয়ে দিয়ে গত ২ জুন আরও ৯০ পয়সা বাড়িয়ে ডলার দাম ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। গত ৬ জুন প্রতি ডল🐓ারের দাম দাঁড়ায় ৯১ টাকা ৫০ পয়সা।

ডলারের দাম বেড়ে গত ৭ জুন ৯১.৯৫ টাকা, ৮ জুন ৯২ টাকা এবং গত ১৩ জুন ৯২.৫০ টাকা হয়। ১৫ জ🍬ুন ডলারের দাম ছিল ৯২.৮০ টাকা। ২১ জু🐻ন ডলারের দাম বেড়ে ৯২.৯০ টাকা, পরের দিন তা বেড়ে ৯২.৯৫ টাকা হয়েছে। গত ২৮ জুন ডলারের দাম বেড়ে ৯৩.৪৫ টাকা, ২৯ জুন ৯৩.৪৪ টাকা, ৩০ জুন ৯৩.৪৫ টাকা, ১৪ জুলাই ৯৩.৬১ টাকা, ১৭ জুলাই ৯৩.৯৫ টাকা হয়েছে। গত ২১ জুলাই ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৯৪.৪৫ টাকা।

সবশেষ স𓆏োমবার (১ আগဣস্ট) আন্তঃব্যাংকে ডলার লেনদেন হয়েছে ৯৪.৭০ টাকায়।