ইভ্যালির লকারে যা মিলল 

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২২, ০৪:৩০ পিএম
ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসের একটি লকার ভেঙে শতাধিক চেক পাওয়া গেছে। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

দেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসের একটি লকার ভেঙে শতাধিক চ🐻েক পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৯৭টি এবং সিটি ব্যাংকের ১০টি চেক রয়েছে। 

এছাড়া পাসওয়ার্ড না দেওয়া𒀰 আরও একটি লকার ভ♎াঙার কাজ চলছে বলে জানা গেছে।

এর আগে সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ে যান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সদস্যরাꦐ। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ইভ্যালির কার্যালয় থেক💙ে লকারগুলো বের করা হয়। 

এ সময় উপস🐈্থিত ছিলেন আদালত গঠিত বোর্ডের পাঁচ সদস্য। 

তারা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি রেজাউল আহসান, আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মো. শামীম আজিজ, অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন, এফসিএ অ্যান্ড এ🌱ফসিএমএ এর সাবেক চিফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ এবং বোর্ডের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। 

সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, “গত ২৩ নভেম্বর কারাগারে থাকা ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী নাসরিনকে ধানমন্ডি কার্যালয়ে লকারগুল🐬োর কম্বিনেশন নম্বর (পাসওয়ার্ড) দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বর্তমান পর্ষদের প্রতিনিধিকে তꦅাদের সঙ্গে দ্রুত দেখা করার ব্যবস্থা করতেও আইজি প্রিজনকে নির্দেশ দেন আদালত।”

সাবেক এই বিচারপতি আরও বলেন, “পরবর্তী সমܫয়ে কোর্টের ওই আদেশের পরও লকার দুটির পাসওয়ার্ড পায়নি কমিটি। যে কারণে লকার ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ লকার দুটি কাটা হচ্ছে।”

পরে মেশিন দিয়ে কেটে লকার দুটির একটিতে দুটি ব্যাংকের চেকবই এবং কিছু কাগজপতꦍ্র পাওয়া গেছে। এরমধ্যে মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৯৭টি এবং সিটি ব্যাংকের ১০টি চেক বই এবং কাগজের খামের ভেতর বেশꦜ কয়েকটি কাগজ ছিল।

এর আগে প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিয🐓োগে ইতোমধ্যে ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্টানটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে আছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রথমে অনলাইনে ডায়াপার বিক্রি দিয়ে যাত্রা শুরু করেন রাসেল। ২০১৭ সালে এই ব্যবসা করতে গিয়ে বড় একটি অনলাইন প্লাটফর্মের কথা চিꦉন্তা করেন তিনি। সেই চিন্তা💛 থেকেই প্রতিষ্ঠা করেন দেশিয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। প্রায় ১৭ লাখ নিয়মিত ক্রেতা, ২০ হাজারের বেশি বিক্রেতা নিয়ে দেশের ই-কমার্স খাতে স্বল্প সময়ে প্রথম সারিতে উঠে আসে ইভ্যালি।

এছাড়া এশিয়ার💧 মধ্যে স্বল্প সময়ে দ্রুতবর্ধনশীল ই-কমার্স স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি♕ ও বিজনেস লিডার হিসেবে অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন মোহাম্মদ রাসেল।

মোটরসাইকেল, গাড়ি, মোবাইল, ঘরের সরঞ্জাম এবং আসবাবপত্রের মতো উচ্চমূল্যের পণ্যে ল✤োভনীয় ছাড় দেয় ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠার শুরুতে সাইক্লোন, আর্থকোয়াক ইত্যাদি নামে তারা ক্রেতাদের ১০০ শতাংশ ও ১৫০ শতাংশ ক্যাশব্যাকের মতো লোভনীয় অফার দেয়। ইভ্যালির ব্যবসার এ কৌশলের ফলে মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি অনেক সমালোচনারও সৃষ্টি ♓হয়।