কবিতা

অপাপবিদ্ধ শিশুর কান্না

গোলাম কিবরিয়া পিনু প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৪, ০৩:০০ পিএম

আমি তো আর কিছুই বুঝতে চাই না 
তোমাদের রাজনীতি,
          কূটকৌশল,
      যুদ্ধের স্ট্রাটেজি!
এসব বুঝবার আগে—
আমি শিশুর কান্না দেখতে চাই না,
যে শিশুটি তার নিহত পিতার পাশে
বোমার আঘাত ও ধোয়ায় ছটফট করছে!
তার কাছে ভোর ও সূর্যবেলার আলাদা কোনো অর্থ নেই,
অর্থ নেই আগামীকালের!

যার হাতটা কিছুক্ষণ আগে উড়ে গেল
গ্রেনেডের আঘাতে,
সে কোন ধর্মের? তা জানার আগে—
আমি তার বিকলাঙ্গ হওয়ার জন্য তোমাকে
দায়ী করতে চাই—
অভিযুক্ত করতে চাই
তুমি বর্বর-ঘাতক!
বর্বর-ঘাতকের আলাদা কোনো পরিচয় মেলে ধরবার
প্রয়োজন নেই!

এতদিন হলো সংঘাত চলছে
তারমধ্যে শান্তিচুক্তি,
একে অপরের যুদ্ধবিরতি,
অন্য রাষ্ট্রের আয়োজনে গোলটেবিল,
জাতিসংঘের শান্তি আলোচনা ও বিশেষ অধিবেশন,
তারপরও কোনো নিরাপত্তা নেই—
সেই কবে থেকে হত্যাকাণ্ড
সেই কবে থেকে বিপন্নতা!
একটা কবুতরও উড়তে পারছে না স্বছন্দে
বাগানের শ্বেতকরবীও রক্তাক্ত হচ্ছে!
রক্তগোলাপ ছিটকে পড়া রক্তের ফিনকি দেখে
গাছ থেকে এক এক ঝরে যাচ্ছে!

তোমাদের সব আলখাল্লার ভেতরে তো—
মানুষ নামের প্রাণীরই অবস্থান!
গাজা বলি—পশ্চিম তীর বলি—জেরুজালেম বলি
সব ভূগোলেই তোমাদেরই অপাপবিদ্ধ শিশুদের অবস্থান!
তোমাদের ছায়ায় মায়ায় বেঁচে থাকার বদলে
সেই শিশুদের মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে! 
কী সভ্যতা? কী ভব্যতা?
কী আবছায়ায় আজ রক্তাক্ত শিশুরা!
যাদের হৃদয়ে শিশু থাকে না—
তারা পিতা-মাতা হতে পারে না,
তারা অভিভাবক হতে পারে না,
তারা হতে পারে না নতুন প্রজন্মের পূর্বসূরি,
তারা নয় সভ্য সমাজের বাসিন্দা!
তারা তো নিজেদের ভেতরে থাকা মানুষকে 
হত্যা করেছে অনেক আগেই, 
তারপর হত্যা করছে শিশুদের!