প্রতিমায় ডাকের সাজ যেভাবে এলো

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২১, ০১:০৯ পিএম

দেবীদুর্গা প্রতিমার কাঠামোর পিছনে সাদা সূক্ষ্ম শোলার কাজ থাকে। এটিই ডাকের✨ সাজ নামে পরিচিত। ধবধবে সাদা রঙের হয় ডাকেরꦍ সাজ। এর মধ্যে প্রতিমার মূর্তি অসাধারণভাবে ফুটে উঠে।

ডাকের সাজ অনেকে কাছে ঢাকের সাজ নামেও পরিচিত। দুর্গাপুজোর প্রচলণের পর থেকেই ডাকের স🔯াজও শুরু হয়। পূজার ঐতিহ্যকে এটি সসম্মানে বহন করে।

ডাকের সাজের প্রচলন কীভাবে হলো, এর পেছনে রয়েছে ছোট এক🌺 ইতিহা🐬স। পূজা উপলক্ষে  জার্মানি থেকে সর্বপ্রথম ডাকের মাধ্যমে শোলার কাজটি সরবরাহ করা হয়। সেই থেকেই এর নামকরণ হয় ডাকের সাজ।

১৭৫৭ সালের কথা, পলাশীর যুদ্ধের পর কলকাতা শোভাবাজার রাজবাড়িতে প্রথম দুর্গাপূজা হয়। বাঙালিরা এরপর থেকেই দূর্গাপূওজা ঐতিহ্যের সঙ♕্গে উদযাপিত করে আসছে। তত্‍কালীন ব্রিটিশরাও ঐতিহ্যমণ্ডিত এই পুজোয় অংশীদার হয়।

ওই সময় দুর্গাপূজার সূচনা হয়ꦦ আমিষ ভোজন থেকে সুরা পরিবেশন পর্যন্ত। বাঙালির সঙ্গে ইউরোপীয়দের আত্মিক যোগ স্থাপিত হয়। তখন থেকেই দুর্গা প্রতিমা সজ্জিত হয়ে আসছে ডাকের সা💎জে।

এছাড়াও পুরাণ কথানুযায়ী , হিমালয় কন্যা পার্বতীর বিবাহ স্থির হয় দেবাদিদেব মহাদেবের সঙ্গে। মহাদেবের ইচ্ছা ছিল বিয়েতে শোলার সাদা মুকুট পড়ার। তিনি দৈবিক শক্তির দিয়ে নরম জাতীয় এক উদ্ভিদের। যা পরে শোলা গাছ নামে পরিচিতি পায়। কিন্তু কারিগর ও শিল্পী বিশ্বকর্মা অভ্যস্ত ছিলেন না নরম সূক্ষ্ম শোলার কাজে। এই সমস্যার কথা তিনি দেব🐟াদিদেবকে জানান। মহাদেবের ইচ্ছায় তখন জলাশয়ে সৃষ্টি হয় সুকুমার নামক এক যুবকের। যিনি মালাকার নামে পরিচিত হন। সুকুম♏ারের থেকে আস্তে আস্তে বিস্তার লাভ করে মালাকার সম্প্রদায়। বর্তমানে যারা শোলার শিল্পী নামে পরিচিত।

এরপর থেকেই দুর্গার প্রতিমায় মাটি , ꦜবিভিন্ন ধাতু ও জরির কাজ থাকলেও ঐতিহ্যশালী পারিবারিকজ পূজায় এখনও ডাকের সাজের প🐟্রচলন রয়েছে।