শিশুর ঘরটি হোক তার মনের মতো

ঝুমকি বসু প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২২, ০৮:৫৪ পিএম

বাড়ির সবচেয়⛦ে ছোট সদস্য সবার খুব আদরের। তাই তার ঘরটাও হতে হবে তার মনের মতো। অনেকের ছেলেবেলায় অবশ্য আলাদা ঘরের ব্যাপারটাই ছিল না। ভাইবোনেরা গাদাগাদি করে একটা ঘরেই থাকতে হতো। কিংবা দাদা-দাদি অথবা চাচা-ফুফুদের সঙ্গেই একটা ঘর ভাগ করে নিতে হতো। পড়ඣার টেবিল, আলমারি, খাট সবেতেই থাকতো ভাগ করে নেওয়ার ব্যাপার। পড়াশোনা, নাচ-গান, খেলাধুলা সবকিছুর জন্যই বরাদ্দ ছিল ওই একই ঘর। তবে এখন সময় অনেকটাই বদলে গেছে। আর সেই সঙ্গে পাল্টে গেছে চিন্তাভাবনাও। শিশুরা ছোট হলেও পরিপূর্ণ মানুষ। তাদেরও রয়েছে ভালোলাগা, মন্দলাগা। তাই তাদের পছন্দের কথা মাথায় রেখেই সাজিয়ে দেওয়া হয় তাদের নিজস্ব পৃথিবী।

শিশুদের ঘরের অন্দরসজ্জার পরিকল্পনা করাটা কিন্তু সহজ কথা নয়। রঙের সামঞ্জস্য থেকে শুরুꦡ করে ওদের জিনিসপত্র রা𝓰খার জায়গা সব কিছু নিয়েই ভাবতে হয় খুব। বেশি আসবাব শিশুর ঘরে দিলে ওদের খেলার পরিবেশ নষ্ট হবে, আবার দরকারি প্রতিটা জিনিস হাতের কাছে রাখতেও হবে ঠিকঠাক। এখানেই তো অন্দরসজ্জার মুনশিয়ানা।

প্রথমেই আসে রঙের প্রসঙ্গ। শিশুর ঘরের জন্য উজ্জ্বল রঙই আদর্শ। কমলা, হলুদ, গোলাপি কিংবা গাঢ় নীল রঙ ভাল𓃲ো লাগবে। বিছানার চাদর, বালিশের কভার, পর্দাতেও ব্যবহার করুন উজ্জ্বল রঙ। দেওয়ালে আঁকতে পারেন সিন্ডেরেলা, টম অ্যান্ড জেরি কিংবা ওর পছন্দের কোনো কার্টুন চরিত্রের ছবি। অন্যদিকের দেওয়ালে সাজিয়ে দিতে পারেন শিশুর নানা সময়ের কিছু ছবি। জায়গা ছোট হলে খাটের নিচে করতে পারেন স্টোরেজের ব্যবস্থা। আলাদা আলমারি না রেখে দেওয়ালে বানিয়ে ফেলুন ক্যাবিনেট। ক্যাবিনেটের ভেতর জামাকাপড়, খেলনা, বইখাতার জন্য আলাদা আলাদা জায়গা রাখতে পারেন। ঘর বড় থাকলে আলাদা একটা তাক রাখতে পারেন, তাতে থাকবে টেডি বিয়ার, কুকুর, সিংহ কিংবা ওদের মনের মতো পশুদের সারি। শিশুর ঘরে টেলিভিশন না রাখাই ভালো। তার চেয়ে যদি জায়গা থাকে সাজিয়ে দিতে পারেন একটা ছোট্ট লাইব্রেরি।

তাহলে আর কী, পরিকল্পনার পালা শেষ। এবার হাতে-কলমে তৈরি করুন আপনা♎র শিশুর মনের মতো ঘ😼র।