বিশ্ব মেডিটেশন দিবস

বাড়িতেই উপযুক্ত পরিবেশে হোক মেডিটেশন

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২১, ২০২২, ০৩:১৫ পিএম

প্রতিনিয়ত ব্যস্ততা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ। একপর্যায়ে মন-শরীর দুটোই বিপর্যস্ত হয়ে যায়। মানসিক অশান্তিতে ভোগে মানুষ। কাজের 🌺স্পৃহাও হারিয়ে ফেলে। সবকিছুর ভিড়ে নিজেকে একাকী মনে♍ হয়। তখনই মানুষের প্রয়োজন হয় মেডিটেশনের।

মেডিটেশন হলো মনের ব্যায়াম। যে প্রক্রিয়ায় নিজের মনকে নিজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তাটা পাওয়া যায়। অনিশ্চয়তা ও সংশয় কাটিয়ে মানসিক চাপ ও উদ্বেগকে জয় করা যায়। নিয়মিত মেডিটেশন মনঃসংযোগ ঠিক রাখে। কাজের মনোযোগ ও ꦕগতি বাড়ায়। সাফল্য সহজেই ধরা দেয়।

২১ মে, বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। শরীর ও মনের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে নিয়মিত মেডিটেশনের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়িয়ে তুলতেই পালিত হয় দিবসটি। ‘ভালো মানুষ, ভালো দেশ🐬, স্বর্ণভূমি বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি পালন করছে 🔜কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। সবার প্রতি দিবসটি পালনের আহ্বানও জানানো হয়েছে।

মনোবিদরা পরামর্শ দেন, কাজের প্রতি মনঃসংযোগ বাড়াতে নিয়মিত মেডিটেশন করতে হবে। এই সময় মনকে স্থির রাখতে হবে। ধ্যান বা মেডিটেশন মন দিয়ে করতে হবে। এর ꦗজন্য় উপযুক্ত পরিবেশও প্রয়োজন।

অনেকেই মেডিটেশন করতে ক্লাসে যোগ দেন। কিন্তু যারা সময় করে উঠতে পারেন না, তাদের বাড়িতেই ব্যবস্থা করে নিতে হয়। আপনারও হয়তো মেডিটেশনের আগ্রহ রয়েছে, কিন্তু কোনোভাবেই সময় হচ্ছে না। বাড়িতেই উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে মেডিটেশন শুরু করতে পারেন। ইচ্ছ🍸ে থাকলে উপায় তো আপনাকেই বের করতে হবে। তাই দেরি না করে, চলুন বাড়িতে মেডিটেশনের উপযুক্ত পরিবেশন তৈরি করা যাবে যেভাবে, তার কিছু কৌশল জেনে নিই।

  • মেডিটেশনের জন্য উপযুক্ত জায়গা দরকার। বাড়ির যে স্থানে কোলাহল কম বা বাইরের শব্দে মনোযোগ নষ্ট হয় না, এমন জায়গা বেছে নিন মেডিটেশনের জন্য। নির্জন জায়গায় ধ্যানে মনোনিবেশ করা সহজ হবে। টিভি বা কাজের জিনিসপত্র থেকে কোনো স্থানকে বেছে নিতে পারে। ঘরের নির্জন কোনো কোনাও বেছে নেওয়া যায়। মনে রাখবেন, পরিবেশ যত ভালো হবে, মেডিটেশনে মনোনিবেশ করা যাবে।
  • মেডিটেশনের স্থানটি পরিচ্ছন্ন হতে হবে। প্রচুর আসবাব  রয়েছে, এমন স্থানে মেডিটেশন হবে না। ঘরের অপ্রয়োজনীয় জিনিস ও অতিরিক্ত আসবাব থাকলে মেডিটেশনে বসতে ঝামেলা হবে। তাই মেডিটেশন শুরু আগে এগুলোকে ঘর থেকে বের করে দিন। 
  • ঘরের মেঝেতে বসেই মেডিটেশন করা যেতে পারে। এর আশেপাশে ছোট গাছ ও বই রাখতে পারেন। কিংবা আপনার প্রিয় ও শখের বস্তুটি রাখতে পারেন। মনে প্রফুল্লতা আসবে। মানসিক শান্তি পেতে খোলামেলা স্থানেই মেডিটেশনে বসে পরুন।
  • ঘরের মেডিটেশনরে স্থানে কার্পেট বিছিয়ে নিতে পারেন। এর চারপাশে ছোট কুশনও থাকতে পারে। যেখানে অনায়াসে শ্বাসের ব্যায়াম করা যাবে। এ ক্ষেত্রে কার্পেটটি নিয়মিত পরিস্কার রাখুন। মেডিটেশনের জন্য নির্দিষ্ট কার্পেটও কিনে নিতে পারেন, যা পরে গুটিয়েও রাখা যাবে।
  • মেডিটেশনে বসার আগে চারপাশের পরিবেশেও নজর রাখতে হবে। সাধারণত ভোরের সময়টাই ভালো মেডিটেশন হয়। অন্য সময়ও করতে পারেন। তবে উপযুক্ত পারিপার্শ্বিকতা ঠিক রাখতে হবে। চারপাশের শব্দ-গন্ধের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। সব দেখেই ধ্যানে বসুন। 
  • মেডিটেশনের বসার আগে উপযুক্ত মিউজিক চালিয়ে নিতে পারেন। প্রিয় কোনো মিউজিক ছেড়ে নিন, যা  মনোযোগ বাড়াবে।