প্রিয় স্বামীর প্রতি কেন আকর্ষণ হারান স্ত্রী

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৪, ০১:৫৯ পিএম
সূত্র: সংগৃহীত

দুজন মানুষ একসঙ্গে জীবন কাটানোর জন্য বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর শুরু হয় নতুন পথচলা। একে অন💝্যকে বোঝাপড়া। ধীরে ধীরে সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে। সম্পর্ককে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বয়ে চলার মানসিকতা তৈরি হয়। সুখ-দুঃখের সময় একসঙ্গে কাটাতে শুরু করে। তবে এমন সম্পর্কের ব্যতিক্রমও আছে। যেখানে থাকে না ✱বোঝাপড়া। একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নষ্ট হয়ে যায়। একসঙ্গে সংসার করাই কষ্ট হয়ে দাড়ায়।

সম্পর্কের টানাপোড়নের জন্য স্ত্রী কিংবা স্বামী যেকোনো একজন দায়ী হতে পারেন🍒। আবার দুজনই এর জন্য দায়ী হতে পারেন। স্ত্রীর কোনো আচরণ কিংবা কথায় দূরত্ব বেড়ে যেতে পারে। আবার স্বামীর অবহেলা, খারাপ আচরণ কিংবা কটু কথাতেও সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীরা যেকোনো সম্পর্ক ধরে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু স্বামীর কিছু ভুলের কারণে দূরত্ব সৃষ্টি হতে পারে। জানেন কি, প্রিয় স্বামীর প্রতি স্ত্রীরা কেন আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেন? চলুন এর কিছু কারণ জেনে আসি।

যোগাযোগ কমে হওয়া

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিয়মিত কথা হওয়া জরুরি। সুখ-দুঃখের কথা একে-অপরের সঙ্গে ভাগ ওকরে নিতে হয়। যা সম্পর্ককে মসৃণ করে। স্বামীরা কাজের ব্যস্ততায় নিজের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলাই কমিয়ে দেন। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে স্ত্রীর মনে। দূরত্ব বাড়তে থাকে। স্বামীর প্রতি আকর্ষণ কমে যায়। তাই যোগাযোগ ঠিক রাখা অত্যন্ত জরুরি।

ঘনিষ্ঠতা কমে যাওয়া

সাংসারিক জীবনে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা থাকা খুবই জরুরি। সামান্য উষ্ণতাই সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখবে। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পরই স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব বাড়িয়ে নেন স্বামীরা। যা স্ত্রীর মনে গভীর ক্ষত তৈরি করে। শারীরিক ঘনিষ্ঠতা 🏅কমে গেলে আকর্ষণও কমতে থাকে। তাই ঘনিষ্ঠতা যেন না কমে তা খেয়াল রাখা জরুরি।

সম্মান না দেওয়া

স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে সম্মান করಌলে ভালোবাসা বাড়ে। অনেক স্বামীই নিজের স্ত্রীকে সম্মান দেখান না। অবহেলা করে যান। এতে সম্পর্কে শূন্যতা তৈরি হয়। স্বামীর উপর থেকে ভরসা হারিয়ে ফেলেন। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকে। তাই স্ত্রীকে সম্মান দেওয়া জরুরি।

ভালোবাসা কমে যাওয়া

 সংসার জীবনে ভালোবাসা না থাকলে তা গভীরতা পায় না। বিয়ের 🐈পর কয়েকটা বছর পার হলেই স্বামীরা  স্ত্রীর প্রতি আগ্রহ হারান। ভালোবাসার প্রকাশ কমে যায়। ধীরে ধীরে দূরত্ব তৈরি হয়। স্ত্রীও নඣিজের স্বামীর প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেন। তাই ভালোবাসাকে হারাতে দেবেন না। এটি সংসার সুখের করতে সাহায্য করে।

বিশ্বাসঘাতকতা

বি♐য়ের পর স্ত্রীরা সংসার জীবন নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন। সন্তান লালন পালন নিয়ে সময় কেটে যায়। এদিকে স্বামীর ঘরের বাইরেই বেশি সময় পার করেন। অনেক পুরুষ অন্য নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। আর স্ত্রীকে অবহেলা করা শুরু করেন। স্ত্রী এই বিষয়ে জানতে পারলে তꦜখন সংসারে অশান্তি শুরু হয়। বিচ্ছেদের পথেও হাটে সম্পর্ক। তাই স্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার আগে ভাবুন। কারণ এই কারণে স্ত্রী আপনাকে ছেড়ে চলেও যেতে পারে। সুন্দর সাজানো সংসার ভেঙেও যেতে পারে।