জান্তার নৌঘাঁটি দখল, ইয়াঙ্গুনের কাছাকাছি আরাকান আর্মি

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪, ১০:৪০ এএম

সীমান্ত দখলের পরে এ বার মায়ানমারের বিদ্রোহীদের নজর দেশের সাবেক রাজধানী ও গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক শহর ইয়াঙ্গুনের দিকে। গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আং সান সু চির সমর্থক ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইরাবতী’ বুধবার জানিয়েছে, ইয়াঙ্গুনের অদূরে থান্ডওয়ে নৌঘাঁটির দখল নিয়েছেন আরাকান আর্মির ♒যোদ্ধারা। পা🐬শের গাওয়া শহরও তাদের দখলে।

ইরাবতী নদী সংলগ্ন ওই অঞ্চল সামরিক অবস্থানগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গাওয়া থেকেই পথ গিয়েছে ইয়াঙ্গুন꧋ এবং রাজধানী নেপিডোর দিকে। কয়েক মাস আগে কায়কতাও নৌঘাঁটি দখল করেছিল আরাকান আর্মি। কিন্তু এবার কার্যত মায়ানমারের মূল প্রশাসনিক কেন্দ্রের কাছে চলে এল তারা।

‘দ্য ইরাবতী’র ইঙ্গিত, জাܫন্তা সরকারকে উৎখাত ক🥀রতে এর পরে বিদ্রোহীদের যৌথবাহিনী সে দিকেই এগোতে পারে। ১৩ মাসের গৃহযুদ্ধে এই প্রথম ইরাবতীর অববাহিকায় অনুপ্রবেশ করল আরাকান আর্মি।

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইনের পরে রোববার রাতে মণিপুর লাগোয়া চিন প্রদেশের দখল নিয়েছে মায়ানমারের বিদ্রোহীরা। এই অংশেই মায়ানমারের কুকি জনগোষ্ঠীর (কুকি-চিন নামে পরি༺চিত) বসবাস।

সামরিক জান্তা সরকারের বাহিনীকে হটিয়ে থাইল্যান্ড এবং চিনের সীমান্তবর্তী এলাকার বড় অংশ কয়েক মাস আগেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল বিদ্রোহী জোট। চলতি মাসের গোড়ায় বৃহত্তম বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোট দখল করে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশ। এবার মণিপুর লাগোয়া অঞ্চলও তাদের দখলে গেল। গাওয়ার অদূরেরই সৈকত শহর এনগাপালিতে জান্তা সেনার ‘ওয়েস্টার্ন কমান্ডে’র💧 সদর দপ্তর। ইতিমধ্যেই সেখানে আরাকান আর্মি এবং তাদের সহযোগী কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি হামলার প্রস্তুতি শুরু করেছে।