অবিনশ্বর

মাহবুব সাঈদ মামুন প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩, ০৪:৩৯ পিএম

লিখি, শব্দের পর শব্দ
লিখে কী হয় জানি না।
শব্দের রাজ্য মাথায়
দিক-বিদিক উড়ে বেড়ায়
যেন আকাশের সাদা-কালো মেঘ,
শ্রাবণের বৃষ্টি
ক্ষণকাল পর তার রেশ থাকে না।
কিছু মনে থাকে না
কারো নাম, সাল, তারিখ
খ্যাত বা অখ্যাত।

কোথায় আছি? কেন আছি?
কী জন্য আছি? 
কূলকিনারা নেই
আমি অসময়ের যাত্রী।

কিছু কী শব্দ লেখার কথা?
ভাবি আমি
ভাবতে ভাবতে হই দিশেহারা
ভাবের জগতে
শঙ্কিত করে কালো ভয়।
যে শব্দ খুঁজে পাই বেলা-অবেলায়
এ ভাবের শব্দখেলা কেন হয় আমার?
স্মৃতিভ্রম হয়েছে কি?
মস্তিষ্কের নিউরনে কে থাকে বসে?
মানস-তরঙ্গে ভেসে ভেসে
কীসব শব্দ আসে মনে!
আলোর প্রতিবিম্ব হয়ে থাকি আমি
যেন বাস্তবতার প্রতিচ্ছায়া।

কী যেন হারিয়েছে,
শুধু খুঁজে খুঁজে ফিরি?
চিন্তার মহাসাগরে
আমি কি এক স্মৃতিহারা পথিক
সবই ভুলে যাই
সবই হারিয়ে ফেলি
মস্তিষ্কের বিলিয়ন বিলিয়ন কোষ,
তবুও আমাকে চালায়
হেঁটে যাই ভ্রান্তির মেঠোপথে।
মস্তিষ্ক কেন এতো নিঠুর প্রেমের
বেরসিক আধার?
কী সুখ পায় সে আমাকে নিয়ে?
নাকি এগুলো নিছক
জীন-হরমোনের খেলা?
নাকি কেউ খেলে
ওই সুদূর নীহারিকায় বসে
নিরন্তর অর্থহীন।

আমার তাহলে কিছুই করার নেই।
যেন আমি উতাল স্রোতের ভাসমান কচুরিপানা,
অথবা সদ্য জন্ম নেওয়া বালিহাঁসের ছানা
আমি শুধু ভাসি আর ভাসি।

ভাসতে ভাসতে নদী পার হয়ে
সাগরে-মহাসাগরে এসে পড়ি।
যেখানে আমি বিলীন হই,
আরো জলে, মিশে যাই অন্তরালে।
যেখান থেকে একদিন আমি এসেছিলাম
সেখানেই লীন হই,
আবার হই না।

আমি মহাকালের অন্ধকারে ভেসে বেড়াই,
যার কোনো শুরু নেই, আবার শেষও নেই।
সময়ের স্রোতে আমি তাই অবিনশ্বর।