শীতে রোগমুক্তিতে যেসব টক ফল খাবেন

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২১, ০৩:৪৫ পিএম

শীতের আমেজ এখন ঘরে ঘরে। গ্রামাঞ্চল ছাড়িয়ে শীত এখন শহরের বাতাসে বইছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে শীতের রোগগুলো꧙ও। ঘরে ঘরে এখন জ্বর-ঠান্ডা। করোনার সংক্রমণে কিছুটা লাগাম এলেও জ্বর-ঠান্ডা হলে এꩵখনো শঙ্কামুক্ত থাকা যাচ্ছে না। কারণ, জ্বর-ঠান্ডায় শরীর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। তাই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে।

সাধারণত টকজাতীয় খাবারে ভিটাসিন-সি বেশি থাকে। সেই সঙ্গে ফাইবারও পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। শীত♛ে টকজাতীয় ফলগুলো খাবারের তালিকায় বেশি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যবিদরা। টকজাতীয় এমন ৫টি ফল রাখুন খাদ্যতালিকায়।

জলপাই

প্রতি ১০০ গ্রাম জলপাইয়ে খাদ্যশক্তি থাকে ৭০ কিলোক্যালরি, ৯ দশমিক ৭ শর্করা, ৫৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি। এটি   বাতের ব্যথা, হাঁপানি উপশমে জলপাই দারুণ কার্যকরী।&nཧbsp;জলপাই প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সর্দি, জ্বরসহ শীতের রোগগুলো দূরে থাকে।

পেয়ারা

ভিটামিন এ ও বি কমপ্লেক্স , ভিটামিন সি, ক্যারোটিনয়েডস, ফোলেট, পটাশিয়াম, আঁশ এবং ক্যালসিয়াম প্রভৃতিতে সমৃদ্ধ༺। একশ’ গ্রাম পেয়ারায় দুইশ’ মিলিগ্রাম ভিটামনি সি আছে। অর্থাৎ পেয়ারায় কমলার চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। চোখের জন্যও উপকারী।

কুল

ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ কুল হজমের জন্য খুবই ভালো। কুলে আছে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামসহ নানা প্রয়োজনীয় উপাদান। ভিটামিন সি সংক্রামক রোগ দূর করতে সহায়তা করে। যেমন টনসিলাইটিস, ঠোঁটের কোণে ঘা, জিহ্বায় ঘা, ঠোঁটের চামড়া🧸 উঠে যাওয়া ইত্যাদি দূর করে।

কমলালেবু

কমলালেবুর রস, শাঁস, খোসা সবকিছুরই নানা উপকারিতা রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। সেই সঙ্গে থাকে ভিটামিন সি। এসব কমলালেবু সর্দি-কাশি সারায়। হজম শক্তি বাড়ায়। শীতের ত্বক ফাঁটা রোধ করে। শরীরের অভ্যন্তরীণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তপোক্ত করে।প্রতিদিন খাদ্য তালিক🔯ায় অবশ্যই একটি আরে কমলালেবু রাখতে হবে, যা সংক্রমিত রোগ থেকে মুক্তি দেবে। 

আমলকী

আমলকীর ভেষজ গুণ সবার জানা। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকী দাঁত, চুল, ত্বকের জন্য খুবই ভালো। আপনি প্রতিদিনই খেতে পারেন এবং এর কোনো পার্শ🙈্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এটি সর্দি-কাশি, পেটের পীড়া ও রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বেশ ভালো কাজ করে। ব্র💦ঙ্কাইটিস ও অ্যাজমা রোগীদের জন্য আমলকীর জুস উপকারী।

 

সূত্র: হেলথ জোন