ডায়াবেটিসে হাঁটা কেন জরুরি?

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২১, ০৩:৫০ পিএম

ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি হয় না বা  শরীর কার্যকরভাবে উত্পাদিত ইন🌜সুলিন ব্যবহার করতে পারে না। এটি রক্তে গ্লুকোজ বাড়িয়ে দেয়। যা হাইপারগ্লাইসেমিয়া নামে পরিচিত।

শরীরে দুই ধরনের ডায়াবেটিস হয়। টাইপ-১ ডায়াবেটিস,যা ইনসুলিন উৎপাদনের অভাব হলে হয়। আরেকটি হলো টাইপ-২ ডায়াবেটিস। যা শরীরের ইনসুলিনের অকার্যকর ব্যবহারের কারণে হয়। এটি প্রায়শই অতিরিক্ত শরীরের ওজন এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার ফলে হয়ে থাকে। এছাড়াও গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হলো হাইপারগ্লাইস🐻েমিয়া। যা গর্ভাবস্থায় দেখা যায়।

গবেষণা বলছে, প্রতি ৫ সেকেন👍্ডে একজনের ডায়াবেটিস হয়। প্রতি ১০ সেকেন্ডে একজন  ডায়াবেটিস রোগীর মৃত্যু হয়। প্রতি ৩০ সেকেন্ডে শরীরের একটি অঙ্গ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়।

ডায়াবেটিস অন্ধত্ব, কিডনির কার্যক্ষমতা নষ্ট , হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এব🍷ং নিম্ন অঙ্গবিচ্ছেদের একটি প্রধান কারণ। স্বাস্থ্যকর খাদ্য, শারীরিক কার্যকলাপ এবং তামাক ব্যবহার এড়ান🐻ো টাইপ ২  ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। এছাড়াও ডায়াবেটিস চিকিত্সায় ওষুধ, নিয়মিত হাঁটার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

ডায়াবেটিসের মূল সম꧟স্যা হলো ইনসুলিনের অভাব অথবা অকার্যকারিতা। বিশেষজ্ঞরা বলেন,  নিয়মিত হাঁটলে শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে। এছাড়াও নিয়ম মেনে কিছু ব্যায়াম করতে পারেন ডায়াবেটিসের রো🌌গীরা।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে হাঁটা কেন প্রয়োজন? এই ব♌িষয়ে বিশেষজ্ঞরা꧂ বলেন_

  • ইনসুলিনের অভাব অথবা অকার্যকারিতা ডায়াবেটিস রোগের মূল কারণ।  পেশিকোষে গ্লুকোজ প্রবেশ করার জন্য ইনসুলিনের প্রয়োজন। প্রতিদিন হাঁটার ফলে পেশিকোষে গ্লুকোজ প্রবেশ সহজ হয়। ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নেমে আসে।
  • ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা জরুরি। প্রতিদিন  হাঁটলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডায়াবেটিসের জটিলতাও কমে আসে।
  • ঘুম ভালো না হলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাই ঘুম ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই জরুরি। প্রতিদিন হাঁটলে ঘুম ভালো হয়।
  • প্রতিদিন হাঁটলে শরীরে এনডরফিন নিঃসৃত হয়। এতে মানসিক চাপ কমে। মেজাজ ফুরফুরে অনুভূতি হয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য মতে, সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটা প্রয়োজন। একেবারে ঘামঝরানো হাঁটা। যাদের স্থূলতার সমস্যা আছে, তাদের হাটতে হবে আরও বেশি। প্রথম দিকে ৩ থেকে ৫ মিনিট ধীরে হাঁটুন। পরের ২০ থেকে ২৫ মিনিট দ্রুত কদমে হাঁটুন। হাটার শেষ দিকে ১ থেকে ৩ মিনিট গতি কমিয়ে দিন।
  • হাঁটার আগে ডায়াবেটিস মেপে নিন। গ্লুকোজের মাত্রা ৫ দশমিক ৩-এর নিচে থাকলে হাঁটতে গিয়ে রক্তে চিনির মাত্রা কমে যেতে পারে। সকালে খালি পেটে হাঁটতে গেলেও শর্করা কমে যেতে পারে। হালকা কিছু খেয়ে বাইরে হাঁটতে যান। দীর্ঘপথ হাঁটতে চাইলে অবশ্যই সঙ্গে সহজপাচ্য শর্করাজাতীয় খাবার রাখুন।
  • ইনসুলিন নিচ্ছেন? হাঁটার সময় হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয় কি না, সেদিকে খেয়াল রাখুন। হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত মিষ্টিজাতীয় কোনো খাবার খেয়ে নিন।
  • টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের সকালে হাঁটা ভালো। সময় না পেলে তিন বেলা খাবারের এক ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট করে হাঁটুন। এছাড়া বিকেলে হাঁটতে পারেন।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের খালি পায়ে হাঁটা যাবে না। সম্ভব হলে পা বন্ধ জুতো পরে হাঁটুন।
  • বড় এক গ্লাস পানি পান করুন হাঁটার আগে। বাইরে হাঁটতে গেলে পানির বোতল সঙ্গে নিন। প্রতি ২০ মিনিট হাঁটার পর এক কাপ পানি পান করুন।