ক্যাম্পাস ও পাহাড়ে নিরাপত্তার দাবিতে শিক্ষক নেটওয়ার্কের সমাবেশ

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম
ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত

দেশে সব হꦕামলা, গণসহিংসতা, ক্যাম্পাস ও পাহাড়ে হত্যাকাণ্ডের ব🔯িচার এবং জনগণের নিরাপত্তার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। অপরাধীদের পাশাপাশি সব সহিংসতার দায়ভার সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকেও নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এই সংগঠন।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত সমাবেশে সারা দেশে সহিংসতা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা ♚লুৎ🌠ফার সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।

ঢাবির ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ফজলুল হক হলে যে লোকটিকে মেরে ফেলা হয়েছে তাকে শুধু তারা আঘাতই করেনি, ভাত খাইয়েছে, ছবি তুলেছে, কথাও বলেছে। তারপর আবারও আঘাত করে একেౠবারে মেরে ফেলেছে।’

অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, ‘একজন মনোবিজ্ঞানী হিসেবে যেটা বুঝেছি, এই কাজগুলো যারা📖 করেছে তারা চরমভাবে মানসিক অসুস্থ। একজন মানস♛িকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিকে তারা তাদের বিবেক দিয়ে, মানবিকতা দিয়ে দেখেনি। তারা হত্যার নেশায় এই কাজটা করেছে। হয়তো তারা পরে বলবে, এই কাজটা তারা ইচ্ছাকৃত করেনি। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় এটি ঘটেছে এটা তাদের বিকৃত মানসিকতারই প্রমাণ।’

সমাবেশে সামিনা লুৎফা বলেন, আমাদের এই প্রশ্নটাও তোলা উচিত। পরপর দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ🔯ুটি মানুষকে হত্যা করা হলো। তারপরই আমরা দেখলাম যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ༺শিক্ষার্থীদের সব ধরনের রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করা হলো। এর পরিষ্কার ব্যাখাটা কী?

সামিনা লুৎফা আরও বলেন, ‘যে রাজনীতি করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, আমরা ভা♌ষা পেয়েছি, 🐲এই ২৪-এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্বৈরশাসককে হটিয়েছে। এখানে কি রাজনীতি নেই? আপনি সেটাও যদি বন্ধ করে দেন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে কী?’

সব ধরনের সহিংসতা বন্ধে সরকারকে আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের মতো কোনো নাশকতার ঘটন♊া সহিংসতাকারীদের ঘাড়ে চাপিয়ে হাত পা গুটিয়ে দায় এড়ানোর সুযোগ নেই সরকারের।’