রাবির নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে আহত ৯

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৪, ০১:২৪ পিএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামরুজ্জামান হলের ছাদ ধসে পড়েছে। এতে অন্তত ৯ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।  এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর সা𝓰ড়ে ১২টার দিকে রাবির নির্মাণাধীন এএইচ এম কামারুজ্জামান হলের ১০ তালা ভবনের পাশে আরেকটি অংশের একতলা ছাদ ধসে পড়লে এ ঘটনা ঘটে। 

তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাব🔯ুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসাবুল হক বলেন, রাবির একটি প্রকল্পের আওতায় ১০ তলা বিশিষ্ট শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান আবাসিক হল এবং ২০ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স𒆙 কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।

আসাবুল হক আরও বলেন, “ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে কামারুজ্জামান হলে আসি। এখন পর্যন্ত ৯ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ চলমান ꦑরয়েছে। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

আহত শ্রমিকদের মধ্যে তিনজনকে প্রথমেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। তারা হলেন গাইবান্ধার সাঘাটার আজাদুল (৩৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জের অনুপনগরের সিফাত (২২) ও রাজশাহীর গোদাগাড়ীর শিহাব (২৫)। অন্য দ𒐪ুই শ্রমিককে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্র এবং পরে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হলে ৩০ ফিট উচ্চতඣার একটি অডিটোরিয়াম নির্๊মাণের কাজ চলছিল। গতকাল অডিটোরিয়ামের ছাদের ঢালাই সম্পন্ন হয়। তবে হঠাৎ মঙ্গলবার দুপুরে শার্টারিং ধসে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন কর্মরত শ্রমিকরা চাপা পড়েন। এদের মধ্যে ৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

কামারুজ্জাম🦄ান হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আবু বক্কর বলেন, গতকাল হলের অডিটোরিয়ামের ছ🍒াদের ঢালাই ছিল। সে ঢালাইয়ে কোনো অনিয়ম ছিল, তাই ধসে পড়েছে।

তিℱনি আরও বলেন, ‘আমরা থাকা পর্যন্ত সবকিছু ভালোই ছিল। ছাদের ঢালাই একটা চলমান প্রক্রিয়া।’

সার্বিক বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক খন্দকার শাহরীয়ার বলেন, “আমি রাজশাহীর বাইরে রয়েছি। তবে নির্মাণাধীন হলের একটা অডিটোরিয়ামের কাজ চলছিল, সেটার শ🦄ার্টারিং ধসে পড়ে প্রায় ৯ জন শ্রমিক আহত হয়েছে বলে শুনেছি।”

ঘটনার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান ও♋হিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “এইখানে মোট 💦১১ জন ছিল, ৯ জন শ্রমিক ও দুজন কোম্পানির লোক। শ্রমিক ৯ জনই উদ্ধার হয়েছেন। কোম্পানির দুজন পলাতক আছেন। এইখানে আমাদের আটটি ইউনিট কাজ চালাচ্ছে।”

বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযো💮গ করা হলে কোনো কথা না বলেই সংযোগ কেটে দেন মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের এক কর্মকর্তা।