‘মেডিটেশন দেহের ভেতরের শক্তিকে জাগিয়ে তুলে’

রাবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২১, ২০২২, ০২:১৮ পিএম

‘ভালো মানুষ, ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দ্বিতীয়বারের মতো রাজশাহী বিশ🐻্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পালিত হয়েছে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস।

দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (২১ মে) ভোরে স্বেচ্ছাসেবী মানবিক সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ✤সাবা🌺স বাংলাদেশ মাঠে আলোচনা সভা ও সম্মিলিত মেডিটেশনের আয়োজন করা হয়।

জীববিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠা🀅নে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা।

এসময় বক্তারা বলেন, “মা💖নুষ ভালো হলে এবং ভালোর সংখ্যা বেড়ে গেলেই ভালো দেশ গড়া সম্ভব, দেশকে স্বর্গভূমিতে রূপান্তর করা সম্ভব। আর ভালো মানুষ হতে হলে নিজের যথাযথ যত্ন নিতে হবে। অর্থাৎ নিজের দেহ মন পরিবার ও আত্মার যত্ন জরুরি। যত্ন নেওয়ার সার্বিক দিক-নির্দেশনা সম্বলিত একটি অনন্য বই ‘শুদ্ধাচার’। শুদ💝্ধাচারের এত খুটিনাটি বিষয় আছে, যা অন্য কোনো বইতে আছে বলে আমাদের জানা নেই।”

তারা আরও বলেন, “নিয়মিত মেডিটেশন মানুষের ভেতরের ইতিবাচক সত্তা এবং শুভ শক্তিকে জাগিয়ে তুলে। নিয়মিত মেডিটেশন চর্চায় মনের রাগ, ক্ষোভ, দুঃখ হতাশা, দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ দুর হয়। নেতিবাচকতা থেকে ইতিবাচকতায় ব🌄দলে যায় দৃষ্টিভঙ্গি। মন প্রশান্ত থাকলে, মনে মমতা জাগলে পারিবারিক, পেশাগত, সামাজিক সম্পর্কগুলোও সুন্দর হয়ে ওঠে। মানসিক চাপমুক্ত থাকা যায় বলে বাড়ে পেশাগত দক্ষতা। এছাড়াও শুধু নিয়মিত মেডিটেশ🧜ন চর্চা করেই একজন মানুষ পেতে পারেন প্রশান্তি, সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য।

আয়োজন📖ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসাইন, সমাজকর্ম বিভাগে অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌসসহ বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তারা সম্মিলিত কণ্ঠে প্রত্যয় ব্যক্ত করে উচ্চস্বরে বলেন (প্রতিটি তিন বার করে) ‘ভালো মানুষ, ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’।

পরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষক শহীদ আল বোখা🐎রীর অডিও 💞ক্লিপসের মাধ্যমে উপস্থিত সবাই সম্মিলিতভাবে মেডিটেশন বা ধ্যান করেন।

২০২১ সাඣল থেকে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হচ্ছে দিনটি। বছর পাঁচেক আগে উইল উইলিয়ামস নামে এক ব্রিটিশ মেডিটেশন প্রশিক্ষক প্রথম এ দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেন। উইল উইলিয়ামস অনিন্দ্রার রোগী ছিলেন। মেডিটেশনের মাধ্যমে নিরাময়ের পর তিনি এ সম্পর্কে আরও উৎসাহী হয়ে ওঠেন।