বগুড়ার সোনাꦦতলার ভেলুরপাড়ায় সীমানাপ্রাচীর পরিবেষ্টিত ড. এনামুল হক কলেজের মাঠে রোপণ করা হয়েছে বিভিন্ন শাকসবজি ও ফলমূলের গাছ। কলেজের দুটি অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে মাঠে চাষ করা হয়ে🔜ছে হলুদ।
বর্তমানে হলুদ গাছগুলো সাড়ে চার ফুট থেকে পাঁচ ফুট লম্বা হয়েছে। হলুদের খেতের দুইপাশ দিয়ে কলেজের ভেতরের রাস্তা। যে রাস্তা দ♑িয়ে কলেজের দক্ষিণ পাশে লাইব্রেরিতে যাতায়াত করেন শিক্ষার্থীরা। পাশেই কলেজের স্থায়ী মঞ্চ।
কলেজচত্বরে হলুদ চাষের কারণে শিক্ষার্থীরা অবসরে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে মঞ্চে যে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হতো তা-ও বন্ধ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থীর বললেন, “অধ্যক্ষ কলেজ মাঠে শাকসবজি ও হলুদ চাষ করায় আমরা খেলাধুলা ও বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। মাঠে হলুদ চাষ করায় মঞ্চে যাতায়াত করতে স🍸মস্যা꧑ হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে অনুষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে।”
কয়েকজন অভ♌িভাবকের অভিযোগ, কলেজের অধ্যক্ষ শাকসবজি ও হলুদ চাষাবাদ করায় কলেজমাঠ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও বিনোদনবঞ্চিত হচ্ছ🃏েন। তারা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তব⛄ে কলেজের অধ্যক্ষಌ আবদুল মালেক বলেন, “শিক্ষার্থীদের কৃষি বিষয়ে ব্যবহারিক জ্ঞানের জন্য মাঠে হলুদ চাষ করা হয়েছে।” তিনি জানান, আগে কলেজের মাঠ নিচু ছিল। মাটি কেটে উঁচু করা হয়েছে। মাটি উর্বর হওয়ায় সেখানে চাষাবাদ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে সোনাতলা উপজেলা নির্বাহ🌱ী অফিসার (ইউএনও) ও কলেজ গ𒐪ভর্নিং বডির সভাপতি স্বীকৃতি প্রামাণিক বলেন, “কলেজমাঠে চাষাবাদের ব্যাপারে কেউ আমাকে অবহিত করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, সোনাতলা উপজেলা সদর থেকে 🌊সাত কিলোমিটার দক্ষিণে ভেলুরপাড়া চারমাথায় জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক ড. এনামুল হকের নামানুসারে কলেজটির নামকরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি পাঠদান করা হয়। এ ছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এইচএসসি ও বিএ/ বিএসএস কোর্🐻সও চালু রয়েছে।