পাহাড়ি ঢল আর অতিবৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সিলেটের প্রায় সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এসব পর্যটন কেন্দ্রে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত 🔥পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন।
এদিকে সিলেটের বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তলিয়ে গেছে সাদা পাথর, জাফলং, বিছানাকান্দিসহ বিভিন্ন পর্যটন স্প♒ট।
সিলেটের বেশিরভাগ পর্যটন 💦কেন্দ্রের অবস্থান গোয়াইনঘাট উপজেলায়। এ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি ঘটায় জননিরাপত্তা বিবেচনায় জাফ𒊎লং, জলারবন রাতারগুল, বিছনাকান্দি ও পান্থুমাই পর্যটন স্পট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এসব স্পটে পর্যটকরা আসতে পারবেন⛎ না বলে জানিয়েছেন উপজেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম। এছাড়া কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রেও পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এদিকে ২০ দিনের মাথায় দ্বিতীয় দফা পানিতে ভাসছে সিলেট। ঈদের দিন সকাল থেকে সিলেটের অধিকাংশ এলাকায় বন্যা পরিস্👍থিতি দেখা দেয়। এর আগে ♏২০২২ সালের বন্যায়ও তলিয়ে গিয়েছিল এ বিদ্যুতকেন্দ্র।
সিলেটের জেলা প্রশাসন থেকে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৩ লাখ ৭১ হাজার মানুষ বন্যায়𒐪 আক্রান্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে জেলার কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও জকিগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে। বন্যার্তদের জন্য জেলায় ৬১৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
এছাড়াও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর ছু💞টি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্༒কর।