বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এতিম সেতু ব্যবহার করছে তালতলীর মানুষ

কাশেম হাওলাদার, বরগুনা প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২৪, ০২:০৬ পিএম
ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়া সেতুটি ১৬ বছরেও সংস্কার হয়নি

সেতুর নাম এতিম সেতু। স্থানীয়রা এ নামেই ডাকে। বরগুনার তালতলীর খোট্রার চর-মাছ বাজার এলাকায় খালের ওপর এ সেতু। এলজিইডি ২০০০ সালে সেতুটি নির্মাণ করে। ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় সেতুটি দেবে যায়। তারপর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়া সেতুটি দীর্ঘ ১৬ বছরেও সংস্কার হয়নি। বিকল্প না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ কয়ে📖ক হাজার মানুষ ব্যবহার করছে সেতুটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির ক্রস অ্যাঙ্গেল মরিচা ধরে নড়বড়ে ও কাত হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সিম✃েন্টের ঢালাই বহু আগে ভেঙে পড়েছে। রিকশা-মোটরসাইকেল তো দূরের কথা, মানুষ হেঁটে গেলেও কাঁপছে সেতুটি। মাঝখানে বড় একটি ভাঙা অংশ মেরামত করা হলেও সেতুটি চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তারপরও প্রয়োজনের তাগিদে যাওয়া-আসা ক🌳রছে-মানুষ। তবে যে কোনো মুহূর্তে বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আল আমিন হাওলাদার বলেন, “সেতুটি দিয়ে খোট্রার চরের কয়েক হাজার মানুষ তালত꧒লী উপজেলা শহরে যাতায়াত করে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও স্কুলে আসা-যাওয়া করেন। প্রায়ই এ সেতু পারাপারের সময় দুর্ঘটনা ঘটে। আমাদের দাবি দ্রুত সেতুটি মেরামত করে দেওয়া।”

ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম লিটু খান বলেন, “সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টারচর এলাকার বেশিরভাগ মানুষজন জেলে। মাছ ধরে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। এখানকার মানুষদের উপজেলা শহরের সাথে সংযোগের একটিমাত্র পথ। ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে যেতে ভয় পায়। বিভিন্ন অভিভাবকরা বললেও আমরা তো নিরুপায়। আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনেকবা𒅌র যোগাযোগ করেছি কোনো কাজ হয়নি।”

নিশানবাড়িয়াা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ভাঙা সেতুর কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হন শিক্ষার্থী, কৃষক এবং রোগীরা। কিন্তু বিকল্প রাস্তা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ﷺে শত শত মানুষ পারাপার করছে সেতুটি দিয়ে। আমার ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ এ সেতু দিয়ে পারাপার হয়। এটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কোনো গাড়ি 💟চলাচল করে না। তবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ পারাপার হচ্ছে।

এ বিষয়ে তালতলী এলজিইডি প্রকৌশলী ইমতিয়াজ হোসাইন রাসেল বলেন, ঝুঁকিপূ♕র্ণ এই সেতুটির প্রাক্কলন তৈরি করা হবে। এরপরে টেন্ডার হবে, তখন সেতুটির কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে এলজিইডি বরগুনা কাযালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সুপ্রিয় মুখার্জি বলেন, “জেলা ও উপজেলার মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে এটা ঠিক। কিন্তু আমরাও বসে নেই। এসব সেতু পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্ত𓆏াবভুক্ত করা হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবেও কয়েকবার এসব সেতু নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিছু দিনের মধ্যে এসব সেতুর টেন্ডার আহব্বান করা হতে পারে।”