পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুতে শঙ্কিত নগরবাসী

আব্দুর রশিদ জীবন, রংপুর প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১, ১০:৫০ এএম

রংপুরে পুলিশের অতিরিক্ত উপপরিদর্শক (এএসআই) পিয়ারুল হত্যার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে সবাইকে। একই সঙ্গে নগরীকে মাদকশূন্য করতে আদাজল খেয়ে লেগেছে মহানগর পুলিশ। এএসআই পিয়ারুলের মরদেহ দাফনের পর থেকেই পুলিশের চিরুনি অভিযান চলছে। এরই মধ্যে ২৯ মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মাদক কারবারিদের শুধু আটক বা গ্রেপ্তার নয়, দৃষ্টান্𒆙তমূলক শাস্তি দাবি করেন সুশীল সমাজের নেতারা। তা না হলে এই দুষ্টচক্রের হাতে আরও অনেক প্রাণ ঝরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মাদকাসক্তের হাতে খুন হওয়া এএসআই পিয়ারুলের ঘটনাটি রংপুরসহ গোটা দেশেই এখন আলোচিত। রংপুরে মাদক ব্যবসায়ীর𒁏 হাতে পুলিশ হত্যার ঘটনা এটাই প্রথম। এতে আতঙ্ক বেড়েছে জনমনে। নগরীর সিগারেট কোম্পানি এলাকার বাসিন্দা আজহার আলী জানিয়েছেন, এলাকার চারপাশ মাদকে ভরা। প্রতিদিন বিভিন্ন মানুষের আনাগোনা থাকে। কেউ আসেন মোটরসাইকেলে কেউবা চার চাকায় চড়ে। এলাকার অনেকেই দেখেন, কিন্তু প্রতিবাদ করেন না। কারণ, সবাই ভয় পায় এই চক্রটিকে। 

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর মহানগর সভাপতি খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু সংবাদ প্রক🍬াশকে জানিয়েছেন, পুরো নগরীকে নিরাপত্তার শেকলে বেঁধেছে মহানগর পুলিশ। এরপরও কেন মাদকের আগ্রাসন𓆉। পাড়া-মহল্লা, অলিগলিতে পুলিশের ছড়াছড়ি, এরপরও ঘটছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। এত শক্ত ব্যবস্থার পরও একজন পুলিশ কর্মকর্তার খুন হওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে দেখছেন না তিনি। এ বিষয়ে পুলিশকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

এদিকে সিনিয়র আইনজীবী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু সংবাদ প্রকাশকে জানিয়েছেন, দেশকে মাদকমুক্ত করতে সরকার আইন করেছে, নিম্ন আদালতগুলোতে মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সাজাও হচ্ছে। কিন্তু উচ্চ আদালতে আইনের নানা ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে এসে পুরোনো পেশায় ফিরছেন মাদক কারবারিরা। এ কারণে অপরাধীরা দুঃসাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। এ জন্য আইনের পাশাপাশি𝕴 সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মহানগর পুলিশের অপরাধ বিভাগের উপসহকারী পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন সংবাদ প♕্রকাশকে জানান, অপরাধমুক্ত নগর গড়তে পুলিশ বদ্ধপরিকর, সেই লক্ষ্যে কাজ করছে মহানগর পুলিশ। ইতোমধ্যে কমেছে চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি, ইভ টিজিংসহ অনেক অপরাধ। আর মাদককে নির্মূল করতে আছে জিরো টলারেন্স। এএসআই পিয়ারুলের হত্যার বিষয়টি গ🌳ুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে মহানগরের ৬ থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৯ মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীকে।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর সিগারেট কোম্পানি এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী পলাশের ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হন মহানগর পুলিশের হারাগাছ থানার এএসআই পিয়ারুল। পরে তাকে🍨 রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে তার মৃত্যু হয়।