আসন্ন খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে চার মেয়র প্রার্থীর মধ্যে সম্পদে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত 🦩তালুকদার আব্দুল মেয়র খালেক। আর বার্ষিক আয় ও ঋণে এগিয়ে জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু। অন্যদিকে বার্ষিক🔯 আয় ও সম্পদে পিছিয়ে থাকলেও শিক্ষাগত যোগ্যতায় এগিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা আবদুল আউয়াল। আর সম্পদে সবার পেছনে জাকের পার্টির প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেন।
মনোনয়নপত্রের সঙ্গꩵে প্রার্থীরা যে হলফনামা জমা দিয়েছেন, তাতে এ তথ্য জানানো হয়♓েছে।
হলফনামা যাচাই করে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী খালেকের পেশা ব্যবসা। তবে ব্যবসা থেকে আয় নেই তার। বছরে কৃষি খাত থেকে আয় ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। ব্যাংকে আমানতের বিপরীতে সুদ থেকে আয় ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা। মেয়র পারিতোষিক ও ভাতা থেকে আয় ২৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা আয় করেছেন। স্থাবর সম্পদের মধ্যে খালেক পৈতৃক সূত্রে ২৩ বিঘা কৃষিজমির মালিক। এ ছাড়া ৩ কাঠা অকৃষিজমির মালিক, যার মূল্য ২৮ লাখ ২১ হাজার টাকা। জমিসহ একটি বাড়ির অর্ধেক মাল💮িক ত🐷িনি, যার মূল্য ২ কোটি ১২ লাখ টাকা। জমিসহ ৫ তলা আরেকটি বাড়ির অর্ধেকের মালিকও তিনি, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৩১ লাখ টাকা।
এদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মধু স্বশিক্ষিত। পেশায় সরকারি প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। বছরে তার আয় ৯০ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাড়ি ভাড়া থেকে আয় ১ লাখ ৮৫ হাজা⛎র ৯১৩ টাকা। ঠিকাদারি ব্যবসা থেকে আয় ৮৮ লাখ ২৬💛 হাজার ৮৮৭ টাকা।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আউয়াল কামিল পাস। তার পেশা শিক্ষকতা ও ব্যবসা। তিনি জামি’আ রশীদিয়া গোয়ালখালী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। তিনি ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ২১০ 🌳টাকা। মাদ্রাসার শিক্ষকতা পেশা থেকে আয় ১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ আছে নগদ ৬ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিকস সামগ্রীর মূল্য ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা, আসবাবের মূল্য ৫০ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ১৫ ভরি স্বর্ণ, যা🌳র মূল্য ১৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। আর নিজের নামে ৩ দশমিক ৫৭ শতক অকৃষিজমি।
জাকের পার্টির প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেন স্নাতক পাস। তাঁর পেশা ব্যবসা। তিনি ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কৃষি খাত থেকে আয় ৫০ হাজার টাকা। বাড়ি ও দোকান ভাড🦹়া ৩০ হাজার টাকা। এ ছাড়াও স্থাবর সম্পদ টিভি, ফ্রিজ, এসি, খাট সোফা, আলমারি। বউয়ের নামে স্বর্ণ ২ ভরি ও ব্যাংকে জমা আছে ৩০ হাজার টাকা। কৃষিজমি ১০ কাঠা।
আগামী ১২ জুন ভোট হবে খুলনা সি🅘টিতে। আগামী ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দ পাবেন প্রার্থীরা। এবার খুলনায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দেবেন প্রায় ৫ লাখ ৩৫ হাজার জন ভোটার।