পতিত জমি চাষে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টান্ত

সাব্বির ফকির, খুলনা প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩, ০৯:১৮ এএম

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। শাক, সবজি, চাল-ডাল, আটা থেকে শুরু করে মাছ-মাংসের দামও এখন আকাশচুম্বী। এই মন্দা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবাদযোগ্য পতিত জমিতে চাষ করতে বলেছেন। দেশের সব আবাদি জমিতে চাষ হলে সংকট কেটে যাবে। বেশি করে আবাদ করলে বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। তাই দেশ✃ের প্রতি ইঞ্চি পতিত জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় পাল্টে গেছে খু♋লনা বিভাগের পানি ভবনের কম্পাউন্ড। এই কম্পাউন্ডের পতিত জমিতে শোভা পাচ্ছে নানা জাতের𝐆 শাকসবজি ও ফুলের বাগান। শুধু পতিত জমিই নয়, কম্পাউন্ডের একেকটি ভবনের ছাদে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি ও ফলের গাছ লাগানো হয়েছে।

খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের চত্বরের পতিত জমিতে চাষ করা হয়েছে বিভিন্ন শাকস꧙বজির। ফলনও হয়েছে বাম্পার। চারদিকে যেন সবুজের সমারোহ। পতিত জমির সদ্ব্যবহার ও সবুজ শ্যামল মনোরম পরিবেশ তৈরি করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চারদিকে ইটপাথরে ঘেরা পানি ভবন চত্বর এখন ফসলের মাঠ। সেখানে শিম, টমেটো, মুলা, বেগুন, ওলকপি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, লালশাক, ডাঁটাশাক, পুঁইশাক, ধনেপাতা, পেঁপে, পুদিনাসহ নান রকমের সবজির বাগান রয়েছে। এই সবজি বাগানের বিভিন্ন জাতের সবজি পাউবোর সদস্যদের খাবারের চা𓂃হিদা অনেকাংশে পূরণ করছে।

খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা মো. ꦯতরিকুল ইসলাম বলেন, প্রথমে ২ শতক জমিতে শুরু করলেও এখন তা দাঁড়িয়েছে ১ বিঘারও অধিক জমিতে। এতে উৎপাদিত ফসল প্রতিদিনের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে একটু হলেও রক্ষা করছে।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, “ছোটবেলা থেকেই শাকসবজিসহ বিভিন্ন গাছ রোপণ করার অভ্যাস রয়েছে। সম্প্রতি প্রতি ইঞ্চি পতিত জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আম🔯ি আরও ꦆঅনুপ্রেরণা পেয়েছি। তাই অফিসের আশপাশের বিভিন্ন জায়গা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত পড়ে থাকতে দেখে একদিন নিজ উদ্যোগে অফিসের কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে অফিসের সামনের দিকে খালি জায়গায় প্রথমে বেগুন, লালশাকসহ কয়েক প্রকার সবজি রোপণ করি এবং সফলও হই। এরপর অফিস সহকারীরা অফিসের আশপাশে সব খালি জায়গা চাষাবাদের উপযোগী করে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করেছেন।”

এ বিষয়ে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা যতটুকু জমি আছে তা চাষের আওতায় এনে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। সেই নি🌞র্দেশনা বাস্তবায়নে পাউবোর পতিত জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষমুক্ত এসব সবজি বাজারের তুলনায় অনেক ভালে। পানি ভবনের কোয়ার্টার ছাড়াও আশপাশের এলাকায় থাকা পাউবোর কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে এসব সবজি বিতরণ করা হয়।