ঠাকুরগাঁওয়ের জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ। জেলা শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার পথ পাড়🐈ি দিলেই চোখে পড়বে অপূর্ব স♏ৌন্দর্য আর দৃষ্টিনন্দন প্রাচীন ঐতিহ্যের ওই জামে মসজিদ। অপরূপ নকশাসংবলিত মসজিদটি এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জেলার পরিচিতি হিসেবেও স্থান পেয়েছে মসজিদটি।
ꩵমসজিদের প্রবেশমুখে রয়েছে সুন্দর একটি তোরণ। নির্মাণশৈলী ও অপূর্ব কারুকাজ মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের। পুরাকীর্তির মধ্যে জামালপুর জামে মসজিদ অন্যতম। তৎকালীন তাজপুর পরগনার জমিদারবাড়ি থেকে রওশন আলী নামের এক ব্যক্তি আসেন এ অঞ্চলে। তারই বংশধররা পরবর্তী সময়ে এখানে জমিদারি পান।
জানা যায়, ১৮৬২ সালে বসবাসের জন্য জামালপুরে জমিদারবাড়ির ꧙ভিত্তি স্থাপন করলেও কাজ শেষ না হতেই ১৮৬৭ সালে মসজিদ নির্মাণকাজ শুরু করেন, যা দ্রুত সময়ের মধ্যে মসজিদের কাজ শেষ করা হয়। ভারতের উত্তর প্রদেশের হংসরাজ এবং তার ছেলে রামহিৎ মসজিদটির মূল কারিগর হলেও দ্বারভাঙা এলাকার কারিগররাও নির্মাণ কাজে অংশ নেন। কারিগরদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় মসজিদটির শিল্পকলা দৃষ্টিনন্দিত, মনোমুগ্ধকর ও প্রশংসাযোগ্য হয়ে ওঠে।
১২ শতক জমির ওপর নির্মিত দেড় শ বছরের পুরোনো এই মসজিদ দেখতে দেশ বিদে♏শ থেকে ব🌳ছরে প্রায় ৩০ হাজার দর্শনার্থী ছুটে আসেন। আর মসজিদটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বেশ কয়েক বছর আগে তালিকাভুক্ত করে ৪৫ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জামালপুর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. রুহুল আমিন🐬 বলেন মসজিদটি দেখতে দূরদূরান্ত হতে লোকজন আসে। আর এটির নির্মাণশৈলী মুগ্ধ করে দর🦂্শনার্থীদের।
জমিদার পরিবারের নবম পুরুষ 🌸বাতেন চৌধুরী বলেন, “আমাদের পূর্বপুরুষরা মসজিদটি নির্মাণ করেন, যা রক্ষণাবেক্ষণ সবই আমরা করি। সরকারের সহযোগিতা পেলে মসজিদটি আরও দীর্ঘদিন সুন্দরভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব বলে।”