ভাসমান পেয়ারা বাগান টানছে পর্যটকদেরও

মো. শহিদুল ইসলাম, বরিশাল প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২১, ০২:৩৪ পিএম

বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলা আটঘর কুড়িয়ানা-ভীমরুলীর বিলের পেয়꧙ারার ভাসমান হাট এখন পর্যটকদের আকর্ষণের প্রধান কেন্দ্রও🦋। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রকৃতিপ্রেমীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। 

ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে মুখরিত থাকে𝔉 এই বিল। নৌ ও স্থল পথে পর্যটকরা উপভোগ করতে আসেন এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। পেয়ারার এ হাটগুলোতে শুধু পর্যটকদেরই উপচে পড়া ভিড় বিষয়টা তেমন নয়। হাঁক-ডাক রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদেরও। বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার পর্যটকরা শতাধিক ট্রলার এবং ডিঙি নৌকা ভাড়া কর💯ে পেয়েরা বাগান দেখতে আসেন।

বরিশাল বিভাগের তিন জেলার ৫৫ গ্রামে পেয়ারার ফলন হয়। বরিশাল, ঝালকাঠি এবং পিরোজপুর জেলার হাজার হাজার মানুষের কাছে ‘পেয়ারা’ অর্থনৈতিক স্বাচ্ছনܫ্দ্য ও জীবিকার প্রধান উৎস। আষাঢ়-শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসের ভরা বর্ষায় এসব এলাকার নদী ও খালের পাড়ে থাকে পেয়ারার সমারোহ।

ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ভাসমান হাট থেকে বাংলার আপেল খ্যাত পেয়ারা সরবরাহ হয় গোটা দেশে। এই ভাসমান হাট দেখতে ভ্রমণপিপ🐬াসু ও প্রকৃতিপ্রেমীরা ছুটে আসেন। পেয়ারা রাজ্য ঘুরে দেখতে নৌকাই পর্যটকদের একমাত্র উপায়। সড়ক পথে ঘুরলেও চোখে পড়বে পেয়ারা বাগান। শুধু পেয়ারাতেই সীমাবদ্ধ নয় এখানে পাওয়া যাবে আমড়া, আখ, লেবু ও বিভিন্ন জাতের কলাসহ নানা ধরণের শাকসবজি। 

ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়ন ও নবগ্রাম ইউনিয়নে ভীমরুলী বিলসহ বিভিন্ন খালে মৌসুমী ফল পেয়ারার ভাসমান হাট এখন বেশ জমজমাট। দেশের বিভিন্ন জায়গার ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলে আসা পর্যটকদের অনেকেই এ হাট দেখতে আসেন। তবে পেয়ারার মৌসুম শেষ পরꦍ্যায়ে হওয়াতে আমদানি কম।

বর্তমানে স্থানীয় স্বরূপক🍒াঠি জাতের প্রতি মণ পেয়ারা ৮০ টাকা পাইকারি দামে (কেজি ২০ টাকা) বিক্রি হচ্ছে। তবে থাই জাতের পেয়ারা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায় (মণ ২ হাজার ৮০০ টাকা)।

ঝালকাঠি কৃষি বিভাগ ও বাগান মালিকদের সূত্রে জানা যায়, এ বছর সদর উপজেলার ২১টি গ্রামে ১ হাজার ৮৫০ একর জমিতে পেয়ারার বাগান করা হয়েছে। এর মধ্যে কীর্তিপাশা ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম কীর্তিপাশা, ভীমরুলী, মীরাকাঠি, ভৈরমপুর, ডুমুরিয়া, খেজুরা, খোদ্দবরাহর, বেশাইন খান, শংকর ধবল, বেউখান ও স্থানসিংহপুর এবং নবগ্রাম ইউনিয়নের নবগ্রাম, হিমানন্দকাঠি, দাড়িয়াপুর, সওরাক🦩াঠি ও কঙ্গারামচন্দ্রপুর গ্রামে সবচেয়ে বেশি পেয়ারা উৎপাদন হয়েছে।

ভাসমান হাটগুলোর মধ্যে কীর্তিপাশা ইউনিয়নের ভীমরুলী গ্রামের ভীমরুলী বিলে গ🎶ড়ে ওঠা ভাসমান হাটটি সবচেয়ে বড়। অন্য হাটগুলো পেয়ারা বাগানের মধ্য দিয়ে বয়ে যায় খালের দিকে।

ঝালকাঠি কৃ🌜ষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ফজলুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “চাষিরা যে আবাদে লাভ বেশি পাবেন, সেদিকেই আগ্রহী হবেন। যখন দেশি পেয়ারা প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হয়, তখন আমড়া বিক্রি হয় ৫০ টাকায়। থাই পেয়ারাও বেশি লাভজনক।&rdquo🤪;

বরিশাল বিএম কলেজের শিক্ষার্থী সুমী ও আয়শা ইসলাম এবং ফরিদপুর থেকে আসা সাইফুল ইস🐷লাম জানান, এখানে জীবন্ত প্রকৃতি ভালো লাগে, তারা সুযোগ পেলেই এখানে চলে আসেন।