বেশি দামে বিক্রির আশায় আলু চাষে ব্যস্ত কৃষক

এম এ রাজ্জাক, নওগাঁ প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২২, ০৯:৪৪ পিএম

উত্তরের জেলা নওগাঁয় দীর্ঘদিন ধরে আগাম আলু চাষ হয়ে আসছে। কৃষক💯েরা এখন আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বেলে-দোআঁশ মাটিতে ৫০ থেকে ৫৫ দিনে উত্তোলনযোগ্য ‘উফসি ও স্থানীয়’ জাতের আগাম আ♛লুর বীজ বপন করছেন তারা। এখন মাঠের পর মাঠে আলু বপনের প্রতিযোগিতা চলছে।

প্রতি বছর আগাম আলু চাষে প্রান্তিক-মাঝারি ও বর্গা চাষিরাও লাভবান হয়। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় স্বল্প মেয়াদি আগাম আমন ধান ঘরে তু꧙লে সেই জমিতে আলুর জন্য হালচাষ, পরিচর্যা, সার প্রয়োগ ও হিমাগার থেকে বীজ সংগ্রহ ও বপনে ব্যস্ত সবাই।

সরেজমিন দেখা গেছে, 🧸মাঠের পর মাঠ আগাম আলু চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষকেরা। 🐟মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের আইওরপাড়া গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম ৫ বিঘা ও মোবারক হোসেন ৫ বিঘা জমিতে আগাম আলু বপন করেছেন। তারা জানান, আগাম আলু উত্তোলন করতে পারলে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন।

নজরুল ইসলাম জানাꦓন, এই অঞ্চলের জমিগুলো একদম দোঁআশ এবং বালুমাটি মিশ্রিত। ভারি বৃষ্টিপাত হলেও বড় ধরনের ক্ষতির ভয় থাকে না। অতি বৃষ্টির ফলেও শুষ্ক হয়🔯 মাটি। তাই দ্বিগুণ লাভের আশায় আগাম আলু বপন করছেন।

জেলার নিয়ামতপুর উপজ🍌েলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ছাতমা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম জানান, যার আলু যত আগে উঠবে সেই কৃষক তত বেশি ভাল দামে বিক্রি করতে পারব🔯েন। মৌসুমের শুরুতে বাজারে নতুন আলুর চাহিদা থাকে প্রচুর। ভোক্তার কাছে আগাম দিতে পারলে চড়া বাজার মূল্য পেয়ে দ্বিগুণ লাভবান হবেন, এমন প্রত্যাশা কৃষকদের।

আলুচাষি করিম হোসেন জানান, গত বছর ৩ বিঘা জমিতে প্রায় ৪০ বস্তা ফলন♚ পান, যা উত্তোলন করে ৯০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করে খরচ বাদে দুই লাখ টাকা 🐟আয় করেন। এবার ধান কাটার পর ৮ বিঘা জমিতে আলু বপন করেছেন। আরও দুই বিঘা জমিতে আলুর বীজ বপনের প্রস্তুতি চলছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, চলতি বছর এক হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা ༺হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ২৬০ হেক্টর বেশি। এ বছর আগাম আমন ধানে রেকর্ড ফলন পেয়ে কৃষক আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় উঁচু জমিতে আলু চাষে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। নিচু জমিতে আবহাওয়া দেখে বপনের কথা বলা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হোসেন জানান, জেলায় চলতি বছর আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর (উফশী ৫ হাজার ৭১০ ও স্থানীয় ৭ হাজার ১০০ হেক্টর) এ পর্যন্ত মোট আবাদ ১২ হাজার ৮১০ হেক্টর। আগাম আলু চাষ ৪০০ হেক্টর। গত বꦬছরের চেয়ে এবার বেশি জমিতে আগাম আলুর চাষ হয়েছে। এই জেলার অন্যতম আকর্ষণ আগাম আলু ৫৫ থেকে ৬🌟০ দিনের মধ্যে বাজারে পাওয়া যায়। আশা করা যাচ্ছে, গত বছরের মতো ভালো দাম পেয়ে কৃষকেরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।