ফরিদপুরে আবারও চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে।🎐 মাঝখানে বেশ কিছুদিন বিরতির পর সাম্প্রতিক সময়ে আবারও এমন ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুঁড়ে মারায় যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলেও যেকোনো মুহুর্তে আশঙ্কাজনক কিছু ঘটে যেতে পারে বলে শঙ্কা করছেন অনেকে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব ঘটনꦗার অধিকাংশই থানা কিংবা রেল পুলিশকে জানানো হয় না।🌃 তাই দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।
জানা গেছে, শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাতে ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা যাওয়ার পথে পুখুরিয়া স্টেশন ছাড়ার এক মিনিট পরে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারার ফলে গুরুতর আহত হয়েছেন লুবনা বেগম (২০) নামের এক নারী।
ভাঙ্গা প🔥্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল মান্নান মুন্নু জানান, সাম্প্রতিককা🎀লে ফরিদপুরের এই রেল রুটে কমপক্ষে ১০ জনের মতো রেলযাত্রী এভাবে পাথর ছুড়ায় আহত হয়েছেন।
আবু বকর সিদ্দিকী নামে একজন র🅺েলযাত্রী জানান,🍌 এর আগে ভাঙ্গা স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি তালমা স্টেশন ত্যাগ করার পরে তার সামনেই পাথর ছুঁড়ে এক যাত্রীকে আহত করার ঘটনা ঘটে। এতে ওই যাত্রীর কপাল ফেটে রক্তাক্ত হয়ে যান।
সংশ্লিষ্টদের মতে, গত বছর এভাবে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ে যাত্রীদের আহত করার পর জেলা প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষের নানা পদক্ষেপ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাাহিনীর অভিযান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তৎপরতা এবং স্থানীয়দের সচেতনতামুলক প্রচারণা চালানো হয়। এর ফলে দীর্ঘদি💙ন চলন্ত ট্রেনে এভাবে পাথর নিক্ষেপ করা বন্ধ ছিল। এরপর গত মাসাধিককাল ধরে আবার শুরু হয়েছে। রেললাইনের মাটি ধসরোধে স্লিপারের নিচে ফেলে রাখা মুজদকৃত পাথর কুড়িয়ে নিয়ে সেসব নিক্ষেপ করা হচ্ছে। চলন্ত ট্রেনে ছুড়ে মারা এসব পাথরগুলো বেগে এসে বিদ্ধ হচ্ছে অনেকের চোখেমুখে।
পাথর ছুঁড়ে মারার সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে তথ্য দিলে নগদ টাকা পুরস্কারেরও ঘোষণা করেছে রেলওয়ে পুলিশ। নানাভাবে এর বিরুদ্ধে প্রচার প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। তবুও থাম𒁏ছে না এসব ঘটনা।
ফরিদপু💜রের ভাঙ্গা রেলস্টেশন মাস্টার মো. শাহজাহান জানান, অতি সম্প্রতি আবারও পাথর ছুঁড়ে রেলযাত্রীদের আহত করার কয়েকটি ঘটনার খবর জꦗেনেছেন তিনি। ফরিদপুরের পুখুরিয়া থেকে তালমার মাঝামাঝি জানদি গ্রাম ছাড়িয়ে এ ঘটনা বেশি ঘটছে। এছাড়া পুখুরিয়া পেরোনোর পরে এবং বাখুন্ডার কাছাকাছি কিছু ঘটনার খবরও জানা গেছে। বিশেষ করে সন্ধ্যায় গাড়িতে এসব বেশি হয়।
তিনি আরও জানান, এসব ঘটনার পরে আহতরা লিখিত অভিযোগ দেন না বলে নির্দিষ্ট করে এর সংখ্যার প্রকৃত হিসাব জানা থাকে না। তবে, এসব ঘ💯টনা মাঝেমধ্যে ঘটে। সিআরপি থেকে 🥂সংবাদ সম্মেলন করে এসব ঘটনার বিরুদ্ধে জনমত তৈরির অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, এভাবে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারার পর মৃত্যুর নজিরও রয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছে জনসচেতনা বাড়াতে।♈ চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপকারীর সম্পরꩵ্কে তথ্য দিলে কিংবা ধরিয়ে দিলে নগদ ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।
রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারা অনুযায়ী ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করা হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে। ৩০২ ধারা অনুযায়ী পাথর নিক্ষেপে কারও মৃত্যু হলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। এসব আইনে শাস্তির বিধান থাকলেও বাস্তবে তেমন কারও শাস্তি হয়েছে- এমন নজির খুব একটা নেই। এ ব্যাপ♔ারে জনসচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে মনে করছেন অনেকে।
রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ আলম বলেন, “এ ধরণের ঘটনা মཧাঝেমধ্যে ঘটে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর অন্ধকারে পাথর ছুড়ে মারা হয়। পুখুরিয়া🐼র ওই দিকটাতে বেশি হয়। তবে, বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না হওয়ায় বেশিরভাগ সময়েই পুলিশকে জানানো হয় না। আমরা মাঝেমধ্যে রেলের ডিউটিরত পুলিশের মাধ্যমে খবর পেলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেই।”
মাসুদ আলম আরও বলেন, “এর আগে ফরিদপুরের ডিবি পুলিশকে দিয়ে অ♕ভিযান চালানোর পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে, আমরা আবার সেখানে যাব এবং স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের নিয়ে মিটিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ಞমোহাম্মদ ইমদাদ হোসাইন বলেন, “এ রকম ঘটনা এখন পর্যন্ত রে𒁏ল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়নি। যদি রেল কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সহকারে পুলিশের সহযোগিতা চায় তবে পুলিশ এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সহযোগিতা করবে।”
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেনꩵ, “বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। রেলযাত্রা নিরাপদ করতে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”