জাতিসংঘে চিঠি দিল শূন্যরেখার রোহিঙ্গারা

কক্সবাজার প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২, ০৯:৪১ পিএম

মিয়ান🅷মার সেনাবাহ꧟িনীর মর্টার শেল ও গোলাবর্ষণে হতাহতের ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জাতিসংঘে চিঠি দিয়েছেন শূন্যরেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রোহিঙ্গা🅘 ক্যাম্পে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে দিল মোহাম্মদ 🐟চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু জিরো পয়েন্টের অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দারা মর্༒টার শেল হামলার নিন্দা জানিয়ে এ প্রতিবꦜাদ সমাবেশ করেন।

চিঠি প্রসঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মুখপাত্র দিল মোহাম্মদ বলেন, “২০১৭ সালে সামরিক জান্তা আট লাখ রোহিঙ্গাকে জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করেছে। আমরা চিঠꦛিতে জাতিসংঘকে জানিয়েছি সামরিক জান্তা বাহিনী যেকোনো মুহূর্তে আমাদের ওপর আরও বড় আক্রমণ করতে পারে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় জাতিসংঘকে শূন্যরেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।”

এ চিঠি জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেꦬন তিনি।

শূন্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গা নেতা আব্দুর রহিম বলেন, “গত শুক্রবার রাতে শূন্যরেখায় পরিকল্পিতভাবে মর্টার শেল হামলা চালিয়েছে মিয়ানমার আর্মি। তারা চায় আমরা এখান থেকে সরে যাই, তবে আমরা অন্য কোথাও༒ যাব না। যদি যেতেই হয় শূন্যরেখার রোহিঙ্গারা হেঁটে পাহাড়ের অপর প্রান্তে রাখাইনে নিজেদের ভিটায় ফিরবে।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সারাদিন থেমে থেমে কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালীর আঞ্জুমান পাড়া সীমান্তে নতুন করে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। একেকটি ভারি গোলার আওয়াজে প্রকম্পিত হয়েছে এপারের মাটি বাসা-বাড়িও। এমনটি জ🀅ানিয়েছেন পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী।

এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে এতদিন গোলাগুলি হলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রচন্ড মর্টারশেল ও গুলির বিকট শব্দে কেঁপে উঠে পালংখালি সীমান্ত এলাকা। ফল🐭ে পালংখালির ৯নং ওয়ার্ডের আঞ্জুমান পাড়া ও পূর্ব💝 পারিরবিল এলাকার সীমান্তবর্তী মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন।”

ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, “আমাদের অ♌ংশ দিয়েও সীমান্তের ওপারে সারা দিন গোলাগুলি শব্দ পাওয়া গেছে। মাঝে মধ্যে মর্টার শেল সীমান্তের কিনারায় এসে পড়ছে। এমন অবস্থায় সীমান্তের বসবাসকারীরা ভীতির মধ্য রয়েছেন।”

অপরদিকে, সীমান্ত এলাকার মানুষদের নিরাপদে থাক🐎ার জন্য মঙ্গলবার সকালে বিজিবির পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। সীমান্তের ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত লোকদের সরানোর জন্য তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, “মঙ্গলবার সকালে উখিয়া সীমান্তের ওপারে গোলাগ🤪ুলি শব্দ পাওয়ার বিষয়টি স্থানীয়রা অবহিত করেছেন। ওই সীমান্ত এলাকার ৩০০ মিটারের ভেতরে প্রায় ১০০ পরিবার রয়েছে। আমরা তাদের খোঁজ-খবর রাখছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”