গুড়পুকুরের মেলা শুরু ১৮ সেপ্টেম্বর

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২, ০৯:৫৯ এএম

করোনার কারণে ২ বছর বন্ধ থাকার পর🎉 ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আবার শুরু হচ্ছে সাতক্ষীরার ৪০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী গুড় পুকুরের মেলা। মনসা পূজার মধ্য দিয়ে শ🌠ুরু হয়ে প্রাচীন লোকজ সংস্কৃতি মেলা চলবে দুই সপ্তাহ।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুর মেলা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীর🌠া জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে এ সভা🌞 অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক কাজী আরি🎀ফুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) কনক কুমার, সাতক্ষীরা পৌরসভা প্যানেল মেয়ের কাজী ফিরোজ হাসান, সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কাইয়ুম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ ঘোষ, জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি সোমনাথ ব্যানার্জি, রাবেয়া পারভীন, বাস মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল করিম সাবু, জেলা আওয়ামী লীগের জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক𝓡 সম্পাদক ডা. সুব্রত ঘোষসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সভায় জানানো হয়, বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিতব্য এ মেলা সাতক্ষীরার ৪০০ বছরের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ বছরও জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে♏ জেল꧃া প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে মেলার স্টল স্থাপন মেলা প্রাঙ্গণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, নিয়ন্ত্🅠রণ কক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তদারকির ব্যবস্থা, সি🌄সি ক্যামেরা স্থাপন, পর্যাপ্ত আনসার সদস্য নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

প্রতি বছর ৩১ ভাদ্র ཧমনসা পূজার মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকায় প্রাচীন আমলের গুড়পুকুরকে ঘিরে বসে। একই দিনে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পালন করেন বিশ্বকর্মা পূজা। মেলায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের পসরা নিয়ে অংশ গ্রহণ করেন।

২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর স൲ন্ধ্য𝓀ায় পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে একটি সিনেমা হল ও সার্কাস প্যান্ডেলে বোমা হামলা চালানো হয়। এতে ৩ জন নিহত হন এবং আহত হন শতাধিক। এরপর দীর্ঘ ৮ বছর এ মেলা বন্ধ ছিল।