নওগাঁর মান্দা উপজেলায় সবღচেয়ে বিলম্বিত জাতের গৌরমতি আম চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন শহিদুল ইসলাম নামের এক আম চাষি। তার এই গৌরমতি জাতের আম চাষের সাফল্য দেখে এলাকার অনেক চাষি এই আমের বাগান গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
শহিদুল মান্দা উপজেলার গৌবিন্দপুর মৌজায় প্রায় আড়াই বিঘা জমির ওপর গড়ে তুলেছেন একটি ফলের বাগা💖ন। আড়াই বিঘা জমিতে গড়ে⛎ তুলেছেন লেট ভ্যারাইটির গৌরমতি জাতের আম বাগান। প্রায় ৭৫টি গাছে চলতি বছর আম উৎপাদিত হয়েছে।
জে💯লায় পর্যায়ক্রমে খিরসাপাত, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, নাগফজলি, আম্রপালি, আশ্বিনা ও বারি ফোর জাতের আম শেষ হয়েছে। যখন বাজারে কিংবা বাগানে আর কোনো আম নেই তখন গৌরমতি জাতের আম বাগানে উত্তোলন শুরু করে। ১৫ সেඣপ্টেম্বর পর্যন্ত এ আমের মৌসুম। এ বছর তার বাগানে ৮০ মণ গৌরমতি জাতের আম উৎপাদিত হয়েছে, যা ইতোমধ্যে বাজারজাত হতে শুরু করেছে।
প্রথম দিকে 🍌প্রতি মণ আম ১২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাঝখানে ৭-৮ হাজার টাকা মণ এবং সবশেষ বর্তমানে প্রতি মণ আম ১০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারিভাবে গড়ে প্রতি মণ আম ৯ হাজার টাকা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসাবে এ বছর কমপক্ষ🔯ে ৮ লাখ টাকার আম বিক্রি করার প্রত্যাশা করছেন তিনি।
এই আম সুস্বাদু, সুমিষ্ܫট এবং মৌসুমের সর্বশেষ জাতের কারণে লাভজনক হওয়ায় এলাকার শহিদুল ইসলামের পাশাপাশি অনেক আম চাষি এ আম বাগান গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ইতোমধ্যে কেউ কেউ এই জাতের আমবাগান গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন।
জেলা কৃষি অফিসার আবু হোসেন বাবু জানান, কৃষি বিভাগ থেকে ওই কৃষককে গৌরমতি জাতের আম চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে। পরে আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে সব রকমের পরামর্শ এবং টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যে কেউ গৌরমতি আমের বাগান গড়ꦓে তুললে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে।